গাজীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৫ ২০:২২ পিএম
পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের উদ্যোগে বিভিন্ন কল কারখানার ম্যানেজমেন্ট কতৃপক্ষের অংশগ্রহণে গাছা খাল ও লবলং নদের দূষণ রোধে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রবা ফটো
গাজীপুরে লবলং নদের তীরবর্তী প্রায় ১৩৫টি তরল বর্জ্য উৎপাদনকারী কারখানা রয়েছে। যা থেকে প্রতিদিন নিয়মিত ১ লাখ ৮০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য নদীতে নির্গত হচ্ছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের উদ্যোগে বিভিন্ন কল কারখানার ম্যানেজমেন্ট কতৃপক্ষের অংশগ্রহণে গাছা খাল ও লবলং নদের দূষণ রোধে অনুষ্ঠিত সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।
এ ছাড়া সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় সমন্বিত ডাম্পিং স্টেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় শিল্প ও গৃহস্থালীজাত বিপুল পরিমাণ কঠিন বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলার ফলে এক সময়ের লবলং নদটি বর্তমানে লবলং খালে পরিণত হয়েছে। পলিথিন, প্লাস্টিক ও অপচনশীল বিষাক্ত দ্রব্য লবলং খালে ও মহাসড়কের পাশে স্তূপ করে রাখার ফলে ধ্বংস হচ্ছে বাস্তুতন্ত্র।
মহানগরের বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মু. সোহরাব আলী।
পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের উপপরিচালক মো.আরেফিন বাদলের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক মো. আবুল কালাম, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহতাসিম বিল্লাহ।
পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের সহকারী পরিচালক মনিরুল হক ও সহকারী পরিচালক (ঢাকা) মো. সাইফুল্লাহ পৃথক প্রদর্শনীতে গাছা খাল ও লবলং নদের পরিচয়, ঐতিহ্য, দূষণ চিত্র, নদী বিষয়ক আইন, দূষণকারীদের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থাসহ বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। এসময় মহানগরের কোনাবাড়ি এলাকার তুসুকা গার্মেন্টস ও ভোগড়া বাইপাস এলাকার স্কয়ার ফ্যাশন ইউনিট-২ এর পক্ষ থেকেও তাদের তরল বর্জ্য পুনঃ ব্যবহার ব্যবস্থাপনা (ইটিপি) নিয়ে পৃথক দুটি প্রদর্শনী উপস্থাপন করেছেন।