ময়মনসিংহ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৫ ২০:০১ পিএম
প্রতীকী
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় কবিরাজের কাছে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা করাতে গিয়ে এক নারী ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আব্দুল খালেক নামের ওই কবিরাজকে আটক করেছে পুলিশ। তার বাড়ি মুক্তাগাছার গড়বাজাইলের পীরগঞ্জ গ্রামে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত ১১টার দিকে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ তাকে আটক করে। তবে এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও মামলা দিতে রাজি হননি ভুক্তভোগী ওই নারী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খেরুয়াজানি ইউনিয়নের পীরগঞ্জ গ্রামের কবিরাজ আব্দুল খালেক দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগের কবিরাজি চিকিৎসা করে আসছেন। এ খবর শুনে মধ্য বয়সী এক নারী ওই কবিরাজের কাছে যান। তিনি কবিরাজকে ৫ হাজার টাকা দেন এবং কয়েক মাস ধরে কবিরাজের কাছে আসা যাওয়া করতে থাকেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, এ সুযোগে কবিরাজ তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। কবিরাজ তাকে আশ্বাস দেন, এতে দ্রুতই তার গর্ভে সন্তান আসবে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তার গর্ভে সন্তান না আসায় এবং তার টাকা ফেরত না দেওয়ায় ওই নারী শুক্রবার মুক্তাগাছা থানায় অভিযোগ দেন।
তবে ওই নারী কবিরাজের বিরুদ্ধে মামলা করতে রাজি না হওয়ায় আটক কবিরাজকে নিয়ে বিপাকে পড়ে পুলিশ। আজ শনিবার রাত ৮টায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
মুক্তাগাছা থানার ভেতরে ওই নারী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আমি অসহায় এক নারী। আমার যা হওয়ার, হয়েছে। আমি মামলা করতে রাজি না। আমাকে আপনারা বাঁচান। জোর করে তাকে পুলিশ থানায় নিয়ে এসেছে বলে এই নারীর অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে এর আগেও এমন অভিযোগ ছিল। কেউ তার বিরুদ্ধে মামলা না করায় বারবার তিনি বেঁচে যান। এবার তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযুক্তকে আটক করেছি। তবে ওই নারী মামলা করতে রাজি না হওয়ায়, মামলা নিতে বিলম্ব হচ্ছে।’