চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৫ ১৮:৫৬ পিএম
ঢালচর ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোক্তার ফরাজী। প্রবা ফটো
ভোলার চরফ্যাশনে সংঘবদ্ধ র্ধষণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিকে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশের করা মামলার প্রধান আসামি ঢালচর ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোক্তার ফরাজীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩মার্চ) রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার থানায় সোপর্দ করেছে বলে শনিবার দুপুরে দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ৬ মার্চ দক্ষিণ আইচা থানার ঢালচর ইউনিয়নের ভদ্রপাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘনা নদীর তীরে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ র্ধষণ করে ৫ তরুণ। এদের মধ্যে শরীফ তার ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। ভিডিওটি এক বছর পর শরীফের নিজের ফেসুবকে পোস্ট করলে মুর্হুতের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি ভিক্টিম বাদী হয়ে দক্ষিণ আইচা থানায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে মামলা করেন। মামলার পর ঢালচর তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ধর্ষণ মামলার ৩ নং আসামি ইসমাইলকে (২২) তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। এই খবর ছড়িয়ে পরলে ঢালচর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শাহ আলম, সহসভাপতি মোক্তার ফরাজি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপত ফেরদাউস, জিয়া পরিষদের সভাপতি মামুনের নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপির একাংশের শতাধিক কর্মী-সমর্থক বিক্ষোভ-মিছিল করে তদন্ত কেন্দ্রে ঢুকে পরেন এবং এ সময় পুলিশের ওপর হামলা করে পুলিশ হেফাজতে থাকা সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি ইসমাইলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশ হেফাজত থেকে আসামি ছিনতিইয়ের ঘটনায় তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহষ্পতিবার বিকালে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৬। মামলার পর পালাতক যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোক্তার ফরজীকে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে বৃহস্পতিবার ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি এরশাদুল হক ভূইয়া জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে যুবদল নেতা মোক্তার ফরাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ঢাকা থেকে তাকে দক্ষিণ আইচা থানায় হস্তান্তরের পর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।