পাঁচবিবির ছোট যমুনা
চম্পক কুমার, জয়পুরহাট
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৫ ১৩:৪০ পিএম
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৫ ১৭:০৭ পিএম
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ছোট যমুনা বাগজানা-কুটাহারা বালুমহাল। প্রবা ফটো
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ছোট যমুনা বাগজানা-কুটাহারা বালুমহাল ইজারা নিয়েছিলেন উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আবু সাঈদ রনি। এক বছরের জন্য ইজারা নেওয়া বালুমহালটির মেয়াদ শেষ হবে চৈত্র মাসে। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর আবু সাঈদ রনির ইজারা নেওয়া বালুমহালটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বাগজানা ও ধরঞ্জি ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। তারা নিজেরাই যৌথভাবে বালু উত্তোলন করছেন।
বালুমহালে বোরিং করে নদীর ভূগর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলন করা যাবে না বলে শর্ত দেয় জেলা প্রশাসন। এমনকি সেতু থেকে ৩০০ মিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা যাবে না বলেও শর্ত দেওয়া হয়। তবে সেখানে ইজারার শর্ত ভঙ্গ করছেন তারা। ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করছেন তারা। সেতু থেকে বালু উত্তোলনের স্থানটিও খুবই কাছাকাছি। বিষয়টি জানার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তথ্য বলছে, বাংলা ১৪৩১ সনের পহেলা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত এক বছরের জন্য ১১ লাখ ৪৩ হাজার টাকায় বাগজানা-কুটাহারা বালুমহালটি ইজারা পেয়েছিলেন আবু সাঈদ রনি। ১৪৩২ সনে ফয়সাল হোসেন নামে একজন সাড়ে ১২ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন। তিনিই বালুমহালটির ইজারা পাবেন। ফয়সাল হোসেন ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, বালুমহালটি আগে ছিল আওয়ামী লীগের, এখন সেটি বিএনপির। ইজারাদার পরিবর্তন হয়েছে ঠিকই। তবে বালু উত্তোলনের প্রক্রিয়ার পরিবর্তন হয়নি।
বালুমহাল দেখাশোনা করা নাজমুল হোসেন নামের একজন বলেন, বিএনপি নেতারা সমন্বয় করেই ঘাট (বালুমহাল) চালাচ্ছেন।
বাগজানা ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক বলেন, ডাকের (ইজারা) ঘাট। সেখানে ধরঞ্জির সুলতান হোসেন ও বাগজানার রাজু মাস্টার বালু ওঠাচ্ছেন।
ধরঞ্জি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুলতান হোসেন বলেন, ওই বালুমহালে আমার কোনো শেয়ারে নেই।
উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার মে. বেলায়েত হোসেন বলেন, ওই ঘাট (বালুমহাল) যারা পেয়েছিল, তারা চালাচ্ছে বা তাদের লোকজন চালাচ্ছে। সেটির নতুন মেয়াদে ইজারা হয়েছে। সেখানে ড্রেজিং করে বালু তোলার নিয়ম নাই। পাশ থেকে বালু তুলতে পারবে। আর সেখানে ব্রিজ থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে মার্কিং করে দেওয়া হবে।