রংপুর অফিস
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৫ ২০:১৪ পিএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৫ ২০:১৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মোহাম্মদ শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কর্মকর্তাকে মেট্রোপলিটন পুলিশের অন্য বিভাগে বদলী করেছে কর্তৃপক্ষ। পুলিশের ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি রংপুরে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে গত ১৩ নভেম্বর রংপুরের হারাগাছের ব্যবসায়ী লিপি খান ভরসার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। মামলার পর রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক অমিত বণিকের মাধ্যমে লিপি খানের কাছে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ ওঠে পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গত ১১ মার্চ শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন লিপি খান এবং অমিত বণিকের সাথে ঘুষ দাবীর কথোপকথনের কয়েকটি অডিও জমা দেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে অমিত বণিক, পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী কায়সার বিরুদ্ধে লিপি খানের পক্ষে থানায় মামলা করতে যান তার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক পলাশ হাসান। খবর পেয়ে ডিসি শিবলী থানায় যান এবং পলাশের উপর চড়াও হন। পরে থানায় চাঁদাবাজির মামলা হলে এতে অমিত বণিককে আসামী করা হয়। মামলার আগেই থানায় হেফাজতে থাকা অমিতকে গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার (১৪ মার্চ) আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
এদিকে অপোশাদার আচারণের জন্য বৃহস্পতিবার রাতে উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শিবলী কায়সারকে উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) থেকে উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস্) বদলী করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ।
লিপি খান বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী কায়সার, অমিত বণিক ও কামরুল ভরসার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের মামলা করতে আমার ব্যবস্থাপক পলাশকে থানায় পাঠানো হয়। এরপর থেকে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মধ্য রাতে তাকে পুলিশ বাসায় পৌঁছে দিয়েছে। দায়ের করা মামলা থেকে শিবলী কায়সারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী কায়সার জানান, তাকে উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর বাহিরে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। এ নিয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) হাবিবুর রহমানকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া হাতে আসা অডিও রেকর্ড পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।