মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৫ ১২:৩১ পিএম
ক্ষেতে কাজ করছেন কৃষকেরা। প্রবা ফটো
কুমিল্লা মেঘনা উপজেলা এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। উন্নত জাতের আলু চাষ করে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে আনন্দের পাশাপাশি ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, অনুকূল আবহাওয়া ও জমিতে পলি জমার কারণে এবার ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩১৩ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হলেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ৩৭২ হেক্টর, যা গত বছরের তুলনায় ৫৯ হেক্টর বেশি। তবে, উপজেলায় কোল্ড স্টোরেজ না থাকায় দরপতনের আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।
স্থানীয় চাষিরা জানান, প্রতি ৩০ শতক জমিতে আলু চাষে প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়, পাশাপাশি জমি থেকে আলু তুলতে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক বাবদ বিঘাপ্রতি ৬ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। তবে বাজারে আলুর দরপতন হওয়ায় লাভ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চাষি আলামিন বলেন, কয়েকদিন আগেও প্রতি ৮০ কেজি আলুর বস্তা ১৪০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন তা নেমে এসেছে ১২৫০ টাকায়। ফলে ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
রামনগর ছোয়ানী গ্রামের আলু চাষি আল আমিন বলেন, আমি ১২০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি, ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে দর নিয়ে শঙ্কায় আছি, এই উপজেলায় কোল্ড স্টোরেজ নাই যে সংরক্ষণ করে রাখব। সরকারি কোন সহায়তা আমরা পাই না, প্রতি বিঘা জমিতে ৪ টন ফলনের সম্ভাবনা আছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহে আলম জানান, মেঘনা উপজেলার মাটি আলু চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হবে বলে আশা করছি। কৃষকদের সার, কীটনাশকসহ নানা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যা বাম্পার ফলনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
তিনি আরও বলেন, অনেক কৃষক পুরনো জাতের ডায়মন্ড আলু চাষ করেন, যা তুলনামূলক কম ফলন দেয়। আমরা তাদেরকে উন্নত জাতের আলু চাষের পরামর্শ দিচ্ছি।