বেড়া-সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৫ ১৬:৩৩ পিএম
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৫ ১৬:৪৫ পিএম
মিঠুন (বাঁয়ে) ও মেহেদী হাসান ইমু। প্রবা ফটো
পাবনার সাঁথিয়ায় আমিরুল ইসলাম আমির নামে এক যুবলীগ নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (১০ মার্চ) রাত ৮টার দিকে পূর্বশত্রুতার জেরে উপজেলার গৌরীগ্রাম ইউনিয়নের চকপাট্টা উত্তরপাড়ায় এ হত্যাকাণ্ড হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত আমিরুল ইসলাম আমির উপজেলার ক্ষেতুপাড়া গ্রামের মৃত লোয়াই প্রামাণিকের ছেলে এবং ক্ষেতুপাড়া আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী। জানা গেছে, তিনি উপজেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মেহেদী হাসান ইমু ও মিঠুন। এদের মধ্যে মিঠুন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ও পাবনা মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার এবং ইমু ক্ষেতুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগের বিরোধের জেরে সোমবার রাত ৮টার দিকে ক্ষেতুপাড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী ইমু, সালেক এবং পাবনা মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার মিঠুনসহ বেশ কয়েকজন আমিরুল ইসলামের ভাই সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আশরাফ আলীকে মারধর করেন। অভিযুক্তরা। এ খবর শুনে আমিরুল সেখানে গেলে অভিযুক্তরা তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তুলে নিয়ে কিছু দূরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এনজামামুল হক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, তিনি গাড়িতেই মারা গেছেন। নিহতের ভাই আশরাফ আলীকে আহত অবস্থায় সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতের ভাই আশরাফ আলী জানান, কয়েক বছর আগে স্থানীয় বাজারে চায়ের দোকানে তাদের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছিল। বর্তমানে কোনো সমস্যা নাই। ঘটনার দিন তারা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে এবং আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
নিহতের ভাতিজা সোহেল জানায়, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে এসে কিছু লোকজন আমার চাচা আশরাফ মেম্বারকে মারধর করে। এই খবর শুনে তাৎক্ষণিক আমিরুল মোটরসাইকেল নিয়ে সিএনজিকে ধাওয়া করে অভিযুক্তদের ধরে ফেলে। এরপর তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার চাচাকে বুকে-পেটে কুপিয়ে হত্যা করে।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং দুজন গ্রেপ্তার হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মঙ্গলবার গ্রেপ্তারকৃতদের পাবনা আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পূর্বশত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে তিনি জানান।