ঠাকুরগাঁও প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৫ ২১:৪২ পিএম
কোলাজ, প্রবা
ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে অংশ নিতে গিয়ে ‘গণধোলাইয়ের’ শিকার হয়েছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা মো. জাহাঙ্গীর।
রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে ঠাকুরগাঁও আদালত চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। গণধোলাই দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ।
জাহাঙ্গীর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পুলিশ লাইন (১ নম্বর ওয়ার্ড) এলাকার মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছিলেন। সেই আন্দোলনে হামলা চালানো হয়। হাতে বড় একটি রামদা নিয়ে তাকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতে দেখা যায়। হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও আদালত এলাকায় ধর্ষণের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিবাদ চলছিল। হঠাৎ শিক্ষার্থীরা দেখতে পান তলোয়ার জাহাঙ্গীরও সেখানে উপস্থিত। মুহূর্তেই চারদিকে খবর ছড়িয়ে পড়ে, এবং ক্ষুব্ধ ছাত্ররা তাকে ঘিরে ফেলে এবং এলোপাথারি তাকে গণধোলাই দিতে থাকে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাকিব বলেন, ‘আজকে ধর্ষণের প্রতিবাদে আমাদের মানববন্ধন ছিল। সেখানে জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন। আমরা তার চেহারা ভালো করে মনে রেখেছিলাম। সে আমাদের ভাই-বোনদের ওপর হামলা করেছিল। তাই আমরা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেই।’
শফিকুল ইসলাম নামে একজন বলেন, ‘এই ধরনের সন্ত্রাসীরা নানা রূপে আমাদের সমাজে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু আজ সে ধরা পড়েছে, এটাই বড় প্রাপ্তি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি আগেই ব্যবস্থা নিত, তাহলে এতদিন সে এভাবে ঘুরে বেড়াতে পারত না।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাঙ্গীরকে হেফাজতে নিয়েছি। তার শারীরিক অবস্থা অনেক খারাপ। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আগের মামলাগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’