ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৫ ২১:৪৩ পিএম
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৫ ২১:৪৬ পিএম
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বালু ঘাটকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুইপক্ষের সংঘর্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন। একপক্ষে রয়েছেন নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ আরেক পক্ষে রয়েছেন বিএনপির রিপন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও তিনজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার ল্যাংড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
লতিফ গ্রুপের আহতরা হলেন- নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল লতিফ, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. হোসেন আলী, ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নূর আলম তালুকদার, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সোহানুর রহমান সোহান, শাহজালাল, ইউসুফ আলী, খায়রুল, সজিব ও সবুজ। তাদের মধ্যে হোসেন আলী, নূর আলম, সোহাগ, শাহজালাল ও ইউসুফকে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
অপরদিকে রিপন গ্রুপের রফিকসহ তিনজন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের বাগানবাড়ি বালু ঘাট নিয়ে বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ ও রিপন গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। সেই বিবাদ নিরসনের লক্ষ্যে আজ বিকাল তিনটার দিকে ল্যাংড়া বাজার এলাকায় উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠক না হওয়ায় বাড়ি ফিরে যাওয়ার পথে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়।
আব্দুল লতিফ জানান, সালিশ না হওয়া আমরা বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় রিপনের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ইটপাটকেল নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের ১০ জন লোক আহত হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা আইনের আশ্রয় নেব।
পাল্টা অভিযোগ করে রিপন জানান, লতিফের লোকজনই আমাদের উপর আগে হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের তিনজন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু বলেন, দুই গ্রুপের বিবাদ নিরসনের লক্ষ্যে আজ বিকালে সালিশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উভয় পক্ষ বেশি লোকজন সমাগম ঘটায়। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় সালিশ স্থগিত করা হয়। পরে বাড়ি ফেরার পথে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। বিষয়টি বসে মীমাংসা করা হবে।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ওসি তদন্ত মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।