শেরপুর সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৫ ২০:০৪ পিএম
শনিবার দুপুরে শেরপুর শহরের বিভিন্ন দোকানে তদারকি করা হয়। প্রবা ফটো
শেরপুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, গুণগত মানহীন পণ্য বিক্রি, মজুদ করে কৃত্রিম সংকটসহ ভোক্তাদের হয়রানি রোধে বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকিতে নেমেছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে শেরপুর শহরের রঘুনাথ বাজার ও মুন্সীবাজার এলাকায় ফলের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ ও বেকারি দোকানগুলোতে তদারকি করা হয়।
এ সময় নানা অনিয়মের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২টি হোটেল, ২টি ফলের দোকান ও একটি বেকারি দোকানকে মোট ১১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯-এর বিভিন্ন ধারায় এসব জরিমানা করা হয়েছে।
বাজার তদারকি অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা বাজার মনিটরিং টিমের কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহমেদ এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব সরকার।
শহরের মুন্সীবাজার এলাকার জি-৭ রেস্তোরাঁ ও চাইনিজ হোটেলের রান্নাঘরের ফ্রিজে কাঁচা মাংসের সঙ্গে রান্নাকরা মাংস মজুদ করা, কাচ্চি তৈরির জন্য ভেজাল ও বাসি মাংস মেয়নেট করে রাখার অভিযোগে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মোহাম্মদীয়া বেকারির দোকানদার মো. মোয়াজকে উৎপাদিত পণ্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদোর্ত্তীণের তারিখ এবং বিক্রয়মূল্য লেখা না থাকার জন্য ২ হাজার টাকা, রঘুনাথ বাজার এলাকার বিএনপি অফিসের পাশে চাঁন মিয়ার হোটেলে খাবার সংরক্ষণে ত্রুটি ও ঢেকে না রাখায় ৫০০ টাকা এবং মূল্য তালিকা টানানো না থাকার কারণে সত্যবতী সিনেমা হলের পাশে দুই ফল ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়াকে ৩ হাজার টাকা ও সুজন মিয়াকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মনিটরিং টিমের সদস্য ক্যাব শেরপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাকিম বাবুল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি মো. মনিবুল ইসলাম।
বাজার মনিটরিং টিমকে সার্বিক সহযোগিতা করেন জেলা পুলিশের একটি দল এবং কালেক্টরেট জিএম শাখার সাপোর্ট স্টাফরা।
বাজার মনিটরিংকালে টিমের সদস্যরা বাজারের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের সাথে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দোকানে পণ্যের দাম, মান, মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও পণ্যের সরবরাহ ইত্যাদি বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এসময় বাজার দর, ব্যাবসায়িক লাইসেন্স, বিক্রয় মূল্য তালিকা, ক্রয় রসিদ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা পর্যবেক্ষণ করা হয়। রমজান মাসে ভোক্তা সাধারণ যাতে কোনোভাবে প্রতারণার সম্মুখীন না হন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেইসাথে হোটেলে মানসম্মত খাবার বিক্রিতে অবহেলা এবং ফলমূলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি অবলোকন করে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং যৌক্তিক লাভ বিবেচনায় সহনীয় মূল্যে দ্রব্যমূল্য বিক্রির নির্দেশনা প্রদান করা হয়।