নারায়ণগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৫ ১৯:০০ পিএম
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৫ ১৯:০২ পিএম
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। ছবি : সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঘরে জমা গ্যাসের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রাত সোয়া ১টায় এক রিকশাচালক ও শনিবার (৮ মার্চ) সকালে এক নবজাতক শিশু মারা যায়।
নিহতরা হলেন- রিকশাচালক হান্নান ও সুমাইয়া। হান্নান শরীয়তপুরের জাজিরা থানার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম ধনকুন্ডা এলাকায় ইব্রাহিম খলিলের টিনসেড বাসায় পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন। নিহত শিশু একই বাসার পাশের কক্ষে ভাড়াটিয়া পোশাককর্মী সোহাগের মেয়ে।
একই ঘটনায় এখনও চিকিৎসাধীন আছেন নিহত হান্নানের স্ত্রী পোশাককর্মী নুরজাহান আক্তার লাকী, মেয়ে জান্নাত, সামিয়া, ছেলে সাব্বির এবং সোহাগ ও তার স্ত্রী পোশাককর্মী রুপালি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
সার্জন ডা. শাওন জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাতে হান্নান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এবং সুমাইয়া নামের দেড় মাসের শিশু আজ সকালে মারা গেছে। অগ্নিকাণ্ডে হান্নান ৪৫ শতাংশ এবং শিশু সুমাইয়া ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। নিহত হান্নানের দুই মেয়ে সামিয়া ও জান্নাত কিছুটা আশঙ্কামুক্ত। তবে লাকী আর সাব্বিরের অবস্থা ভালো না।
সোমবার (৩ মার্চ) রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম ধনকুন্ডা এলাকায় ওই বাসার দুটি কক্ষে জমা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পরিবারের নারী ও শিশুসহ আটজন দগ্ধ হন। পরবর্তীতে তাদের উদ্ধার করে ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, দুই কক্ষের সেমিপাকা টিনসেড ঘরের নীচ দিয়ে গ্যাসের লাইন গেছে। সেখান থেকে কোনোভাবে গ্যাস লিকেজ হয় এবং এর থেকে ঘরের ভেতর গ্যাস চেম্বারের সৃষ্টি হয়। যে কোনোভাবে আগুনের স্পার্কের সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে এবং অগ্নিকাণ্ড হয়।