মহসিন মোল্যা, শ্রীপুর (মাগুরা)
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৫ ১১:৩১ এএম
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে নিজ ক্ষেতে ব্যস্ত কৃষক মিন্টু সরকার। প্রবা ফটো
থোকায় থোকায় ঝুলে আছে সুগন্ধি জিরা। থোকার ফাঁকে ফাঁকে বেগুনী রঙের ছোট্ট ফুল দৃশ্যটাকে করেছে অপূর্ব। আশপাশের মাঠে কখনও এটা চাষ হয়নি। কৃষকরা চাষ করতে জানে না বলে তাদের কাছে বিস্ময়ও বটে। বলছিলাম মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলায় কৃষক মিন্টু সরকারে জিরা চাষের কথা। প্রথমবার জিরা চাষ করে দারুণ সফলতা পেয়েছেন তিনি।
দেশে জিরার চাষ তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। তাই মসলার চাহিদা মেটাতে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয় সারা বছর। তবে শ্রীপুরের উর্বর মাটি ও অনুকূল আবহাওয়া জিরা চাষের জন্য উপযোগী বলে মনে করনে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
উপজেলার নাকোল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মিন্টু সরকার এখন জিরা চাষের কৃষক হিসেবে পরিচিত। কারণ মাগুরা জেলায় প্রথম সে-ই এই জিরা চাষ করেছেন। মিন্টু সরকার জানান, জিরা চাষ করা ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও করেছি। এটার দাম বেশি। চাষ করে জিরা পেতে হলে ধৈর্য থাকতে হবে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শে তিনি সফলতা পেয়েছেন।
তিনি বলেন, উৎপাদিত জিরা সুগন্ধযুক্ত ও গুণগত মানের দিক থেকেও উন্নত। সফলতার ফলে আশপাশের কৃষকরাও নতুন করে উৎসাহিত হচ্ছেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, জিরা চাষ লাভজনক সম্ভাবনা থাকলেও এর সম্প্রসারণে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বীজের সহজলভ্যতা, সঠিক পরিচর্যা এবং বাজারজাতকরণের সুযোগ থাকলে কৃষকরা বড় পরিসরে যুক্ত হতে পারবেন। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা গেলে শ্রীপুর ও আশপাশের এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে জিরা চাষের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা বলেন, আমরা জিরা চাষে সফল হয়েছি। শ্রীপুরের মাটি ও জলবায়ু মসলা জাতীয় ফসলের জন্য যথেষ্ট অনুকূল। যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের অধীনে কৃষকদের আরও উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে মসলা জাতীয় ফসলেÑ যা বাজার ভালো ও সবসময় দাম ভালো পাবে সেটিই কৃষকরা উৎপাদন করলে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে। সঠিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা গেলে এই অঞ্চলে জিরা চাষ লাভজনক খাতে পরিণত হতে পারে।