বিছানায় পড়ে ছিল স্ত্রী-শ্যালিকার লাশ, স্বামী পলাতক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় স্ত্রী ও শ্যালিকাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সামিউল ইসলাম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

সোমবার (৩ মার্চ) সকালে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে দুই বোনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী সামিউল ইসলাম পলাতক রয়েছে।

নিহত দুজন হলেন ধজনগরের মৃত রওশন আলীর মেয়ে যুথী আক্তার ও তার ছোট বোন স্মৃতি। যুথীর সঙ্গে দেড় বছর আগে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলী গ্রামের সামিউল ইসলামের বিয়ে হয়।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতদের পরিবার জানায়, এক মাস আগে বাবার বাড়ি বেড়াতে যান যুথী। বাবার বাড়ি যাওয়ার পর থেকেই স্বামী ফিরে যেতে বললেও তিনি রাজি হননি। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহ তৈরি হয়। পরে গত সপ্তাহে সামিউল শ্বশুরবাড়িতে যান। রবিবার রাতে যুথী ও তার বোন স্মৃতি এক কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। আর সামিউল তার শ্যালকের সঙ্গে পাশের কক্ষে ঘুমান। রাতে সামিউলকে সন্দেহজনকভাবে রুমে ঘোরাফেরা করতে দেখেন শ্যালক জাহেদ ভূঁইয়া। একপর্যায়ে তিনি তার দুলাভাইকে খুঁজে না পেয়ে বোনদের কক্ষে গেলে সেখানে তাদের নিথর দেহ দেখতে পান।

ওসি আব্দুল কাদের জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত সামিউল ইসলামকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।