পুলিশের অভিযানে মাদক কারবারিদের বাধা, আটক ৪

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার তেবাড়িয়া চৌরঙ্গী এলাকায়  মাদক বহন ও বিক্রি রোধে পুলিশের চেকপোস্টে মাদক কারবারিদের বাধার মুখে পড়েছেন পুলিশ সদস্যরা।

পরে আটক দুই মাদক সেবনকারী নুর আলম ও সেলিমকে  ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান সরকার। 

সাজাপ্রাপ্ত দুই ব্যক্তি হলেন- উপজেলার আংগারপাড়া সরদারপাড়া তারাবুদ্দিনের ছেলে নুর আলম ও পার্শ্ববর্তী নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ফুলতলার সেলিম। 

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১ মার্চ) দিবাগত সন্ধ্যা ৭টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার তেবাড়িয়া চৌরঙ্গী মুশাহার পাড়া এলাকায় মাদক বিক্রি ও বহন রোধে চেকপোস্ট দেয় থানা পুলিশ। এসময় পুলিশের হাতে মাদক সেবনকারী নুর আলম ও সেলিম  আটক হলে ওই এলাকার মাদক কারবারিরা চেকপোস্ট সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানায় এবং পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। এসময় মাদক কারবারি বুলু ভূঁইয়াকে ১০ লিটার চোলাই মদ ও ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করে পুলিশ।

খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান সরকার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমূল হক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে দুই মাদকসেবীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা  দেওয়া হয় এবং মাদক কারবারি বুলু ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করে পুলিশ। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে খানসামা থানার ওসি নজমূল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তেবাড়িয়া চৌরঙ্গী এলাকায় মাদক বিরোধী চেকপোস্ট দেওয়া হয়। ওই চেকপোস্টে দুই মাদকসেবী আটক হলে তাদের ছাড়িয়ে নিতে এবং চেকপোস্ট সরাতে স্থানীয় মাদক কারবারিদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, মাদক রোধে থানা পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আটক মাদক-সংশ্লিষ্টদের রবিবার (২ মার্চ) দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ইউএনও কামরুজ্জামান সরকার বলেন, মাদক, জুয়া ও যেকোন অপরাধ প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন সর্বদা সজাগ আছে। এজন্য সব শ্রেণী-পেশার মানুষের সহযোগিতা ও পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ। 

উল্লেখ্য, এদিন নিতাই চন্দ্র রায় নামে আরও এক মাদক কারবারিকে ২৫ পিস ইয়াবাসহ আটক করে থানা পুলিশ।