কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:০৯ পিএম
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:০৮ পিএম
জেলেদের জালে আটকা পড়া জেলিফিশ। ছবি : প্রবা
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আবারও জেলেদের টানা জালে শত শত জেলিফিশ আটকা পড়েছে। রবিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালের দিকে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে জেলিফিশ আটকা পড়া জালটি উপকূলে টেনে আনেন জেলেরা। পরে এগুলো ফেলে দিলে মরে গিয়ে সৈকতে ভাসতে দেখা যায়।
সৈকতের কর্মী বেলাল হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘মহেশখালীর চর পাড়া থেকে আসা জেলেরা মাছ ধরে লাবনী পয়েন্টে টানা জাল ফেলে। জালটি টেনে কূলে আনার পর দেখা যায় জালে শত শত জেলিফিশ। এগুলো নিয়ে ফেলে দেওয়া হয়।’
শনিবার সকালেও টানা জালে শত শত জেলিফিশ আটকা পড়ে মারা গেছে। এর আগে ১১ নভেম্বর ও আগস্ট মাসের শুরুতে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে শত শত জেলিফিশ ভেসে আসে।
সৈকতে মারা যাওয়া জেলিফিশ ভেসে আসার খবর পেয়ে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দরসহ একদল বিজ্ঞানী সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।
সাঈদ মাহমুদ বলেন, ‘বিভিন্ন সময় মৎস্যজীবীদের বিহুন্দি জালে জেলিফিশগুলো অযাচিতভাবে আটকা পড়ে মারা যায়। অবহেলায় সৈকতে পড়ে থাকা এই সাদা নুইন্যা বা হোয়াইট টাইপ জেলিফিশ খাদ্য হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয়। এটি ওষুধ ও প্রসাধনশিল্পেও ব্যবহার হয়। বঙ্গোপসাগর সাদা নুইন্যার আবাসস্থল হলেও বাংলাদেশে এর কোনো ব্যবহার নেই। অথচ বিশ্বে জেলিফিশের ৫ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে।’
তিনি জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা সাদা নুইন্যা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন। গত ৩ নভেম্বর বিশ্ব জেলিফিশ দিবস উপলক্ষে বুরির সম্মেলন কক্ষে দেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।