মনপুরা (ভোলা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৫ ২১:৫৫ পিএম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৫ ২২:২০ পিএম
অবৈধভাবে মাছ ধরলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়ার বিধান থাকলেও ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলাসংলগ্ন মেঘনা নদীর চিত্রটি যেন সম্পূর্ণ ভিন্ন। গত শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে জাটকাসহ সবধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও মনপুরার মেঘনায় শত শত নৌকায় জেলেদের মাছ ধরতে দেখা গেছে।
নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে মৎস্য বিভাগের উদাসিনতা ও মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে তেমন তৎপরতাও দেখা যায়নি। এমনকি দিনের বেলাতেও মেঘনা নদীতে অসংখ্য মাছধরা নৌকা ও হাজারো বেহুন্দি জাল ফেলে জেলেদের মাছ ধরতে দেখা গেছে।
শনিবার (১ মার্চ) দিনের বেলার চিত্রও ছিল একই রকমের।
উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকারে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে জেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। জাটকা সংরক্ষণে মেঘনা নদীর ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এবং তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চর রুস্তম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত নিষিদ্ধ এলাকায় জাল ফেলা, মাছ পরিবহন ও বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। এ সময়টাতে অভয়াশ্রমগুলোয় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা দণ্ডনীয় অপরাধ এবং আইন অমান্যকারীদের ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার হাজীর হাট লঞ্চঘাটসংলগ্ন পশ্চিম পাশের মেঘনায় দিনের বেলায় অসংখ্য নৌকায় করে জেলেদের মাছ ধরতে দেখা গেছে। পাশাপাশি হাজারো বেহুন্দি জাল পাতা রয়েছে নদীতে। তবে নিষেধাজ্ঞা সময়ে মাছ ধরতে দেখা গেলেও উপজেলা মৎস্য অফিসের তেমন তৎপরতা চোখে পড়েনি। এবং রাতেও কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি মৎস্য অফিস। নিষেধাজ্ঞা সময়ে অভিযান না হওয়ায় গতকাল সকালে উপজেলার হাজীর হাটবাজারে পূর্বের ন্যায় অবৈধ জাটকা, ট্যাংরা, পোমা, চিংড়িসহ ছোটমাছ অবাধে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, আমি অফিসের কাজে ভোলায় আছি। রাতে মৎস্য অফিস থেকে আমরা অভিযান দিতে পারিনি। তবে কোস্টগার্ড অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিখন বনিক বলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। মৎস্য কর্মকর্তা আগামীকাল (সোমবার) মনপুরায় আসলে আমরা অভিযান পরিচালনা করব।