মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৫ ১৯:২৪ পিএম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৫ ১৯:৪০ পিএম
সালিশ বৈঠক শেষে মারপিটে কৃষকের মৃত্যু। প্রবা ফটো
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ঘের বিরোধসংক্রান্ত সালিশ বৈঠক শেষে মারপিটে মহিউদ্দিন মহারাজ নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন নিহতের ভাই শওকত আলী জোমাদ্দার।
শনিবার (১ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে মারপিট ও হত্যার মূল অভিযুক্ত সেনাবাহিনীর সাবেক সার্জেন্ট মো. মিজানুর রহমানকে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালের সামনে থেকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের লক্ষীখালী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
নিহত মহিউদ্দিন মহারাজ বরইতলা গ্রামের আবুবকর জোমাদ্দারের ছেলে। তার স্ত্রী ও চার সন্তান রয়েছে। তার আহত ভাই শওকত আলী জোমাদ্দার মোংলা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
নিহতের স্ত্রী সালমা বেগম ও স্থানীয়রা বলেন, চারবিঘা জমির একটি ঘেরের মধ্যে সাবেক সেনা সদস্য মিজানুর রহমান কিছু জমি পাবে বলে দাবি তুলেন। এর পর তিনি থানায় ঘেরের মাছ লুট ও ঘের দখলের অভিযোগ দায়ের করেন। পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য লক্ষীখালী ফাঁড়ি পুলিশের ওপর দায়িত্ব দেন। সে অনুযায়ী ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইদুর রহমান শুক্রবার দুপক্ষকে কাগজপত্র ও মনোনীত সালিশদের নিয়ে ফাঁড়িতে যেতে বলেন। সালিশ বৈঠক চলাকালে এসআই সাইদুর অনুপস্থিত থাকায় উভয়পক্ষ ফাঁড়ির সামনে রাস্তায় বাগবিতণ্ডায় জড়ায়।
এ সময় অভিযোগের বাদি সার্জেন্ট (অব.) মিজানুর রহমান ও তার সহযোগীরা বিবাদী মহিউদ্দিন মহারাজ, তার বড় ভাই শওকত জোমাদ্দারসহ ৪-৫ জনকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। আহত দুই ভাইকে প্রথমে মোংলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাত ৩টার দিকে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার সময় মহিউদ্দিন মহারাজের মৃত্যু হয়। শনিবার সকাল ৮টার দিকে তার মরদেহ থানা নেওয়া হয়।
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. রাকিবুল হাসান বলেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা নিষ্পত্তির দায়িত্বে থাকা এসআই অনুপস্থিতিতে উভয়পক্ষ মারপিট করে। এতে আহত মহিউদ্দিন মহারাজ মারা গেছেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্ত করতে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার মূল অভিযুক্ত মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।