ময়মনসিংহ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৫ ১৮:৩৫ পিএম
প্রতীকী ছবি।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকার সঙ্গে গড়ে ওঠে শারীরিক সম্পর্ক। প্রেমিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে, কৌশলে কেটে পড়েন প্রেমিক আবুল কালাম। গোপনে অন্যত্র বিয়েও করেন। ভুক্তভোগীর পরিবারের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বাসরঘর থেকে আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারে দাবি- মেয়ের মা ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার মেয়ে বাবার কাছে গ্রামের বাড়িতে থাকে। পাশের বাড়ির যুবক আবুল কালাম প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। চার মাস আগে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন কালাম। এতে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
অন্তঃসত্ত্বার খবরে কৌশলে প্রেমিকার কাছ থেকে দূরে সরে যান আবুল কালাম। গত বুধবার অন্যত্র বিয়ে করেন এই যুবক। বৃহস্পতিবার বাড়িতে নিয়ে আসেন নববধূকে। বিয়ের বিষয়টি ইশ্বরগঞ্জ থানায় জানান কিশোরীর পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই রাতেই বাসরঘর থেকে আটক করেন আবুল কালামকে।
এ ঘটনায় শুক্রবার ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে অভিযুক্ত যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তার মেয়ের সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, এ জন্য তিনি ওই যুবকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে বাসরঘর থেকে আবুল কালাম নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন তিনি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।