পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৫ ১৬:৪৭ পিএম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৫ ১৭:০৬ পিএম
পেকুয়া থানা। ছবি : সংগৃহীত
কক্সবাজারের পেকুয়ায় নারীকে ধর্ষণচেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় মামলাটি করেন।
অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম হেলাল উদ্দিন। তিনি পেকুয়া চৌমুহনী কলেজ গেইট এলাকায় চেম্বারের মাধ্যমে চিকিৎসা দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ভুক্তভোগী নারী তার শিশু বাচ্চাকে ডাক্তার দেখাতে পেকুয়া চৌমুহনী কলেজ গেইটে ‘আল মক্কা হোমিও চিকিৎসা’ নামে হেলাল উদ্দিনের চেম্বারে যান। অ্যালার্জিজনিত রোগে ভুগছিল ভুক্তভোগী নারীর শিশু বাচ্চা। চিকিৎসক হেলাল উদ্দিন শিশু বাচ্চা দেখার পর তার মায়ের সমস্যা আছে বলে তাকেও চিকিৎসা করাতে চান। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারীকে তিনি ভেতরের কক্ষে গিয়ে রোগীর সিটে শুয়ে যেতে বলেন। এর পর তার কোমরে ব্যথার কথা বলে তাকে নিপীড়ন করেন। এক পর্যায়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান ওই চিকিৎসক। এ সময় ভুক্তভোগী নারী চিৎকার করলে চিকিৎসক হেলাল উদ্দিন কক্ষ থেকে বের হয়ে চেম্বারের বাহিরে চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজনের চাপের মুখে চিকিৎসক হেলাল তার অপকর্মের জন্য ক্ষমাও চান।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী নারী বলেন, চিকিৎসার কথা বলে ডাক্তার হেলাল আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে ওই ঘটনার জন্য তিনি ক্ষমা চাইলেও আমাকে দেখে নেওয়া ও মামলা না করতে হুমকি দেয়। আমি এ লম্পট ডাক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মামলা হওয়ার পর গ্রেপ্তার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছে চিকিৎসক হেলাল।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চিকিৎসক হেলাল তার অপকর্মের জন্য ভুক্তভোগী নারীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন নেটিজেনরা ওই চিকিৎসকের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই মূলত এ ঘটনা প্রকাশ পায়।
পেকুয়া হোমিও চিকিৎসক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ডা. আশেক উল্লাহ বলেন, হোমিও চিকিৎসক সমিতির সদস্য হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে একজন নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে । আমরা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সিরাজুল মোস্তাফা বলেন, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের কাছে সেবা নিতে আসা এক নারীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থানায় মামলা করেছেন। আমরা আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি।