গাইবান্ধা সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:৩৬ এএম
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:১৭ পিএম
মুক্তিনগরের ধনারুহা শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ। ছবি : প্রবা
আজ ৪ ডিসেম্বর গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস। আজকের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা উড়িয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয়ের লাল সবুজের পতাকা।
রোস্তম কোম্পানীর মুক্তিযোদ্ধারা এই দিন ভোররাতে ফুলছড়ি থানায় উপর্যুপরি গ্রেনেড হামলা চালান। টিকতে না পেরে পাকসেনারা তাদের ফুলছড়ি ক্যাম্প ত্যাগ করে গোবিন্দী ওয়াপদা বাঁধের আশপাশে আশ্রয় নেয়। এ সময় পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘণ্টাব্যাপী সম্মুখ যুদ্ধের এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে ২২ পাকসেনা নিহত এবং শহীদ হন পাঁচ বীর মুক্তিযোদ্ধা।
ফুলছড়ি মুক্ত করার যুদ্ধে শহীদরা হলেন আফজাল হোসেন, কবেজ আলী, যাহেদুর রহমান বাদল, ওসমান গণী ও আব্দুল সোবহান।
সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওয়াসিকার ইকবাল মাজু জানান, পাঁচ বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ সাঘাটা থানার তৎকালীন সগুনা ইউনিয়নের খামার ধনারুহা স্কুল মাঠের পার্শ্বে সমাহিত করা হয়। স্বাধীনতা উত্তরকালে এ পাঁচ বীর শহীদের সম্মানার্থে সগুনা ইউনিয়নের নাম পরিবর্তন করে মুক্তিনগর ইউনিয়ন রাখা হয়। তাদের সম্মানে কবরের পাশেই নির্মিত করা হয় স্মৃতি সৌধ ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স।
দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিনগরের ধনারুহা স্কুল মাঠে আলোচনা সভা, শহীদদের কবরে পুষ্পুমাল্য অর্পণ, মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।