শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৫ ১২:০৫ পিএম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৫ ১৫:৫৫ পিএম
শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীতে বাল্কহেডে ডাকাতির সময় স্থানীয়রা গণপিটুনি দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। প্রবা ফটো
শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীতে বাল্কহেডে ডাকাতির সময় তাদের এলোপাথাড়ি গুলিতে আহত হয়েছেন অন্তত ৪ জন। পরে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে প্রাণ গেছে দুই ডাকাতের। মাদারীপুরের রাজারচরে ডাকাতির চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর প্রতিরোধে পালানোর সময় শরীয়তপুরে ধরা পড়েন তারা।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে কীর্তিনাশা নদীর ডোমসার ইউনিয়নের তেতুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে একদল ডাকাত মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা করে। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ধাওয়া করে এলাকাবাসী। এ সময় কীর্তিনাশা নদীতে স্পিডবোট নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ডাকাতদল। শরীয়তপুরের তেতুলিয়া এলাকায় আসলে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে তাদের স্পিডবোটের গতিপথ রোধ করেন। এ সময় এলোপাথাড়ি গুলি ও হাতবোমা ছুঁড়েন ডাকাতরা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন চারজন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাতালে (ঢামেক) পাঠানো হয়েছে।
এ সময় ডাকাতির খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মসজিদে মসজিদে করা হয় মাইকিং। মুহূর্তেই শতশত মানুষ ঘিরে ফেলেন ডাকাতদের। ৭ জনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে ডাকাতদের গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ডাকাতের গুলিতে গুরুতর আহতরা হলেন- শরীয়তপুরের পালং থানার ডোমসার মোল্লা কান্দি এলাকার দলিল উদ্দিনের ছেলে তোতা মিয়া (৩৫), পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার জয়নাল মিয়ার ছেলে বাল্কহেড শ্রমিক মাসুম মিয়া (৩০), একই জেলার নাজিরপুর উপজেলার কালিকাঠী এলাকার আনিস ফকিরের ছেলে বাল্কহেড শ্রমিক আলামিনসহ (১৯) ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে পাঁচজন আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ডাকাতদলের মধ্যে কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঠানো হয়েছে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তাদের মধ্যে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। শরিয়তপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুনতাসির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকাতির চেষ্টাকালে সাতজনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ডাকাতির ঘটনায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও স্পিডবোট জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’