বাউফল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:২৩ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:২৯ পিএম
স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ করেন। প্রবা ফটো
পটুয়াখালীর বাউফলে চাষীর কাছ থেকে তরমুজ লুটের মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মামলার আসামি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত খান। মামলা তুলে নিতে তিনি হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী মো. মানিক ব্যাপারী।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিএনপি নেতা এনায়েত ও তার ছেলে সাইফুলের চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও তরমুজ চাষীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে মানিক ব্যাপারী বাউফল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মো. সাইফুল ইসলাম (৩৫) নামের ছাত্রদলের সাবেক এক নেতাসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া আরও ২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির নাম রয়েছে। এ ঘটনায় ওই রাতে পুলিশ সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে এবং তিনি নাজিরপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর রায়সাহেব এলাকার তরমুজ চাষী মো. মানিক ব্যাপারী ৮৬০টি তরমুজ ট্রলারে করে বরিশাল মোকামে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় এনায়েত মেম্বারের ছেলে সাইফুল ইসলাম দলবল নিয়ে ট্রলার মাঝিকে মারধর করে। পরে ট্রলারটি আটক করে নিমদী লঞ্চঘাট এলাকায় নিয়ে যান। চাষী মানিক ট্রলার ফিরিয়ে আনতে গেলে তার কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সাইফুল। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় চাষী মানিককে মারধর করেন এবং অন্য ট্রলারে করে তরমুজ লুট করে নিয়ে যান সাইফুল। পরে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ট্রলার ছাড়িয়ে আনেন ওই চাষী।
এর আগে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ২০২১ সালে তাকে বহিষ্কার করে উপজেলা ছাত্রদল। এখন তিনি যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এনায়েত মেম্বার ও তার ছেলে সাইফুল উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ তালুকদারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
মামলার বাদী মানিক অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপি নেতা এনায়েত মামলা তুলে নিতে বলছেন। মামলা তুলে না নিলে ঘর থেকে তুলে নিয়ে মারা হবে বলে হুমকিও দিয়েছেন তিনি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা এনায়েত খানের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মজিবুল হক বলেন, ‘একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে ইতোমধ্যে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামলার বাদী অব্যশই ন্যায় বিচার পাবেন। কেউ যদি মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’