ফেনীর সোনাগাজী
সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৬ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৩৬ পিএম
আহত মো. ফিরোজ। ফাইল ফটো
ফেনীর সোনাগাজীতে অসুস্থ মাকে দেখতে এসে হামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতা। তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিদ্রের পর পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আহতের পরিবার স্থানীয় বিএনপি নেতা আবুল হোসেন লিটন ও তার অনুসারীদের দায়ী করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের রাগবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম দ্বীন মোহাম্মদ ফিরোজ। তিনি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মজলিশপুর ইউনিয়ন শাখার সহসভাপতি এবং রাঘবপুর গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার আগে ১০ থেকে ১২ জনের একদল লোক ফিরোজকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তারা ফিরোজকে একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে কয়েক ঘণ্টা নির্যাতন চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে তাকে আহত অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশ তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
ফিরোজের মা সুলতানা আক্তার বলেন, ‘আমার ভাই মিজানুর রহমান ও দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে বিএনপি নেতা আবুল হোসেন লিটনের বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছে। গত কয়েক বছর আগে লিটন বাড়ির নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করলে আমার ছেলে বাধা দেয়। এ নিয়ে আমার ছেলের সঙ্গে লিটনের দ্বন্ধ শুরু হয়। গত দু’মাস আগে লিটন জামিনে মুক্তি পেয়ে আমার ছেলেকে কয়েক দফা হামলার চেষ্টা করেন। তাদের ভয়ে আমার ছেলে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করে। আমার অসুস্থতার খবর পেয়ে ছেলে কয়েক দিন আগে গোপনে বাড়িতে আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাড়ি আসার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে লিটন তার দলবল নিয়ে আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে যায় এবং তিন ঘণ্টা আটক রেখে ড্রিল মেশিন দিয়ে আঘাত করে পায়ের রগ কেটে দেয়। এ ছাড়া তাকে পিটিয়ে জখম করে। ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে তারা আমার বোন মোমেনা আক্তার ও কাউসার নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহত করে। আমি তাদের হাতে-পায়ে ধরে মিনতি করেও ছেলেকে নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে পারিনি।’
তিনি আরও জানান, গুরতর আহত অবস্থায় তার ছেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা লিটন বলেন, ‘তার মামাদের সাথে আমার দ্বন্ধ রয়েছে এটা ঠিক কিন্তু ফিরোজের ওপর হামলার ঘটনায় আমার কোন যোগসূত্র নেই। তাকে ধরে নেওয়ার খবর পেয়ে তার মায়ের অনুরোধে উদ্ধারে সহায়তা করি।’
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজিদ আকন্দ বলেন, ‘হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’