লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:১০ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪৪ পিএম
ফাইল ফটো
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে খাবারের সঙ্গে চেতনানশক মেশানো খাবার খেয়ে একই পরিবারের ৬ জন অচেতন হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অসুস্থদের মধ্যে একজন পুরুষ, ২ জন নারী ও ৩ জন শিশু।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভুক্তভোগীদের স্বজন মো. আল-আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অসুস্থরা হলেন- বকুল বেগম, তার ছেলে মাকসুদ আলম, মেয়ে জোসনা আক্তার, নাতি আফরাজ, নাতনি জান্নাতসহ ৬ জন । এক শিশুর নাম জানা যায়নি।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড চরপাগলা গ্রামে রুহুল আমিনের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। পরিবারের সদস্যদেরকে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংস ও টাকা-স্বর্ণালংকার চুরি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
বকুল বেগমের ভাগিনা আল-আমিন জানান, তাদের এক আত্নীয় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাকে দেখতে বকুল বেগম বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে যান। তার ছেলে মাকসুদও দুপুরে বাজারে ছিল। তারা বাড়িতে ফিরে ৩টার দিকে সবাই একসঙ্গে খাবার খান। এরপর থেকেই তাদের সাঁড়া শব্দ ছিল না। আশপাশের মানুষ ধারণা করেছিল, তাদের বাড়িতে কেউ নেই। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। এতে তারা বাড়িতে ঢুকে বকুলসহ সবাইকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। মাকছুদ খুব শিগগিরই বিদেশ যাবে। এ জন্য ঘরে টাকা রাখা ছিল। ওই টাকাসহ ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংসও নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
আল-আমিন বলেন, ‘দুপুরে মামি ও মাকসুদ বাড়িতে ছিলাম না। জোসনা বাড়িতে থাকলেও অসুস্থ ছিলেন। এতে এক প্রতিবেশী নারীকে দিয়ে রান্না করানো হয়। ওই খাবার খেয়েই সবাই অচেতন হয়ে পড়েন। এখন মামি একটু সুস্থ হলেও স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন না। এতে মূল ঘটনাটি এখনও জানা সম্ভব হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে জানতে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মীর মো. আমিনুল ইসলামকে কল দিলেও তারা ফোন ধরেননি।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে একই উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়নের ফলকন গ্রামে শাহজাহান মির্দার বাড়িতে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে তিন পরিবারের ১২ জনকে অচেতন করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুটের ঘটনা ঘটে।