বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৭ পিএম
স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে ইতালি প্রবাসী কামরুল হাসান
ইতালি প্রবাসী কামরুল হাসানের পাঁচ বছর বয়সি মেয়ে সঙ্গে স্বর্ণালঙ্কার ও কষ্টে অর্জিত অর্থ নিয়ে পালিয়েছেন তার স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা পপি। স্ত্রী ও সন্তানকে খুঁজে পেতে মামলা করেছেন তিনি।
জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার চড়ানল গ্রামের মনিরুল হকের ছেলে কামরুল হাসান ২০১৪ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন বুড়িচং সদর এলাকার পাপিয়া সুলতানা পপিকে। ২০১৬ সালে স্ত্রীকে ইতালি নিয়ে যান কামরুল এবং নাগরিকত্বের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পন্ন করেন। এর কিছুদিন পরই তাদের একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়।
তবে পরবর্তীতে পপি ইতালিতে এক বাংলাদেশি যুবকের সঙ্গে বিয়ে বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি বুঝতে পেরে কামরুল তাকে নিষেধ করলেও গোপনে সম্পর্ক চালিয়ে যান পপি। একপর্যায়ে কামরুলের কষ্টার্জিত অর্থ, গহনা ও একমাত্র কন্যাকে নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান তিনি।
স্ত্রী ও সন্তানকে খুঁজে না পেয়ে কামরুল ইতালিতে মামলা দায়ের করেন। পরে তিনি বাংলাদেশে ফিরে শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তারা উল্টো তাকে অপমান করে। উপায় না পেয়ে কাজী অফিসের মাধ্যমে স্ত্রীকে তালাক দেন কামরুল।
পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পপি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার সুরেশ্বর গ্রামে হৃদয় হাসান নামে এক যুবকের কাছে অবস্থান করছেন।
এ ঘটনায় কামরুলের বড় ভাই নাজমুল হাসান বাদী হয়ে কুমিল্লার আদালতে পাপিয়া সুলতানা পপি ও তার মা ফরিদা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
নাজমুল হাসান অভিযোগ করেন, পপির চাচা শাজাহান কিছুদিন আগেও এক শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন, যা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এমন পরিবারে আমাদের ভাইয়ের সন্তান মোটেও নিরাপদ নয় বল্রেও দাবি করেন তিনি।
তিনি কামরুলের অপহৃত কন্যাসন্তান, লুট করা স্বর্ণাঙ্কার ও অর্থ ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।