বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫৪ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫৯ পিএম
কুমিল্লা ময়নামতি নাজিরাবাজারে সড়কটি নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী। প্রবা ফটো
কুমিল্লা ময়নামতি নাজিরাবাজার থেকে ময়নামতি সাহেব বাজার পর্যন্ত পৌনে দুই কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ কাজের ধীরগতির অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা। এ অবস্থায় এই সড়কে চলাচল করা বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষরাও চরমদুর্ভোগে পড়েছে। সড়কটির নির্মাণ কাজের স্থায়ীত্ব নিয়েও এলাকাবাসী চরম ক্ষুব্ধ।
এই সড়কটি নির্মাণ কাজ শুরু করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিভাগ। ময়নামতি সেনানিবাস সংলগ্ন নাজিরাবাজার অংশটি ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং সাহেবের বাজার অংশটি কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত। এ দুটি এলাকার মাঝে রয়েছে ঘোষনগর, মাধাইয়া, হানাইয়ারবাড়ি, শাহদৌলতপুর গ্রাম। এসব গ্রামগুলোতে থাকা কমপক্ষে ৭/৮ হাজার লোক প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। এছাড়াও দুটি মহাসড়কের লিংকরোড হিসেবেও এই সড়কটির গুরুত্ব অনেক বেশি। তাছাড়াও ঘোষনগর এলাকায় বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে আর্মি মেডিকেল কলেজ। তাই তারা প্রায় প্রতিদিন ভারী যানবাহন করে নির্মাণসামগ্রী নিয়ে এ সড়কটিতে চলাচল করে। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন পরে সড়কটি নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু হলে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দেয়। অভিযোগ রয়েছে, ৩ মিটার বা ৯ ফুট প্রস্থ সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরুতে নির্মাণসামগ্রীর মান নিয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করে। সড়কটির দুইপাশে নিম্নমানের ইট গেথে সড়কটির পুরাতন খোয়াগুলো ব্যবহার শুরু করলে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করেন।
স্থানীয় উত্তর ঘোষনগর বায়তুন নুরানী জামে মসজিদের পেশ ইমাম আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নির্মাণাধীন সড়কটিতে ব্যবহার করা ইট নিয়ে ঠিকাদারের লোকজনদের কাছে প্রতিবাদ করলে মোবাইলযোগে তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ হুমকি দেয়। একই মন্তব্য করেন ঘোষনগর এলাকার রফিক, ফারুক, হুমায়ুন কবীর, মফিজ, সাকিব প্রমুখ ।
তারা আরও জানান, ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকার রাস্তাটি ভাঙাচোরা হওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার হন সেখানকার বাসিন্দরা।
রিকশা, ইজিবাইক, অটোরিকশা নিয়ে চলাচলে চরম অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও মুমূর্ষু রোগী, গর্ভবতী নারীসহ বয়স্ক লোকজনদের যাতায়াতেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের দাবি, সড়কটি মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার।
এদিকে স্থানীয়দের দাবির মুখে কাজ বন্ধ হয়ে গেলে ২৬ ফেব্রুয়ারি সরেজমিন ঘোষনগর এলাকায় আসেন বুড়িচং উপজেলা প্রকৌশলী আলিফ মাহমুদ। এ সময় তিনি ঘটনাস্থলে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের সত্যতা পান। পরে ঠিকাদার ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে সড়কটি দরপত্র অনুযায়ী নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন।