ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪৮ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫৬ পিএম
অভিযুক্ত ইমন মিয়া। ফাইল ফটো
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ইমন মিয়া (২০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভৈরব থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্তকে শ্রীনগর এলাকা থেকে আটক করা হয়। ইমন উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের রাজন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই কিশোরী উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় শ্রীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ভৈরব থানায় ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ চার মাস ধরে একই এলাকার যুবক ইমন ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করেন। প্রায় সময় ওই কিশোরীর স্কুলে যাওয়া আসার সময় ইভটিজিং করেন। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হয়ে পাশের বাথরুমে যায় ওই কিশোরী। এ সময় ওই যুবক কিশোরীকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশিসহ পরিবারের লোকজন ছুঁটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং বখাটে ইমন পালিয়ে যান। তিনি ওই এলাকায় চিহ্নিত মাদকসেবী এবং চুরি-ছিনতাইয়ের কার্যক্রমে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় কিশোরীর পরিবার প্রথমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর অভিযোগ দেন। পরে ইউএনওর মাধ্যমে ভৈরব থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বখাটে ইমনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তের খালু লিটন মিয়া বলেন, ‘ওই কিশোরীর সঙ্গে আমার ভাগিনার (প্রেমের) সম্পর্ক রয়েছে। এজন্য তারা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অভিযোগ দিয়েছে।’
ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, ‘সপ্তম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় জড়িত ইমন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শ্লীলতাহানির চেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন। ইমনকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’