গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মবেশ
নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:২৩ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৫২ পিএম
গ্রেপ্তার নাজিম উদ্দিন। প্রবা ফটো
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় চান মিয়া (২৭) নামে এক সিএনজি চালককে হত্যার পর থেকেই পলাতক ছিলেন নাজিম উদ্দিন (৩৬)। এরই মধ্যে কেটে গেছে ১৩টি বছর। মামলার রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তও হয়েছেন তিনি। তবে তিনি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ছদ্মবেশে পালিয়ে বেড়িয়েছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। শেষরক্ষা হলো না তার। অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন এ আসামি।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে জেলা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কেরানীগঞ্জ মডেল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নাজিম উদ্দিন বেগমগঞ্জ উপজেলার তুলান্তারা গ্রামের ছিদ্দিক উল্যাহ মাস্টার বাড়ির মাহাবুবুল হকের ছেলে।
র্যাব-১১-সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর চান মিয়াকে হত্যা করে তার সিএনজি ও মোবাইল লুট করে নিয়ে যাওয়ায় তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় মামলা করেন। পরে হত্যা মামলা হিসেবে রুজু হয়। এরপর বিজ্ঞ আদালত নাজিম উদ্দিনসহ ১২ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। নাজিম উদ্দিন দীর্ঘদিন গ্রেপ্তার এড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পলাতক ছিলেন। র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী নাজিম উদ্দিনের অবস্থান জানতে পেরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার খোলামোড়া বাহারালিয়া ইসলামী মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এএসপি মিঠুন কুমার বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে আসামি নাজিম উদ্দিন পলাতক ছিলেন। আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘ ১৩ বছর ছদ্মবেশে ছিলেন। সোনাইমুড়ী থানার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’