আমতলী (বরগুনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:০৩ পিএম
প্রতীকী ছবি
আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামের স্কুলছাত্রী নাদিয়া আক্তার ও গৃহবধু দুই সন্তানের জননী জান্নাতুল ফেরদৌসী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঘটনাটি ঘটে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামের মৃত্যু লিটন মৃধার মেয়ে নাদিয়া আক্তারকে রেখে মা রাহিমা বেগম মাঠে কাজ করতে যায়। মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে ফিরে মেয়েকে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন। পরে মা ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায়। মেয়ের এ অবস্থা দেখে মা রাহিমা বেগম ওড়না কেটে নিচে নামিয়ে আনেন। অপরদিকে একই গ্রামের সোহেল হাওলাদারের স্ত্রী দুই-সন্তানের জননী জান্নাতুল ফেরদৌসি ওইদিন বিকালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ ওইদিন রাতে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে আমতলী থানায় নিয়ে যায়। বুধবার সকালে পুলিশ মরদেহ দুটির ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছেন। নাদিয়া আক্তার শাখারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় থানায় দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
স্কুলছাত্রীর মা রাহিমা বেগম কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকালে মেয়েকে ঘরে রেখে মাঠে কাজে যাই। রাতে এসে মেয়েকে না পেয়ে খুঁজতে থাকি। পরে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পাই। কেন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে তা আমি জানি না ‘
গৃহবধু জান্নাতুল ফেরদৌসির বড় ভাই রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, ‘কীভাবে আমার বোন মারা গেছেন তা জানি না? খবর পেয়ে বোনের বাড়িতে গিয়ে শুনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’
জান্নাতুলের দেবর সাকিল হাওলাদার বলেন, ‘ভাবীর দীর্ঘদিন ধরে মানষিক সমস্যা ছিল। মঙ্গলবার গলায় রশি পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘দুইটি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’