বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:৪৯ পিএম
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:৫৫ পিএম
আটক ১০ ব্যক্তিসহ মাইক্রোবাসটি জব্দ করেছে পুলিশ। প্রবা ফটো
নাটোরের বড়াইগ্রামে কলেজছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টায় ৫ নারীসহ ১০ অপহরণকারীকে আটক করেছে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার বনপাড়া পৌরশহরের ছাতিয়ানগাছা সড়কের দক্ষিণ খ্রিস্টানপাড়া এলাকা থেকে স্থানীয়রা অপহরণের জন্য ব্যবহৃত মাইক্রোবাসসহ ১০ অপহরণকারীকে আটক করে। পরে আটক ব্যক্তিদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
জানা গেছে, রাজশাহী গোদাগাড়ি এলাকা থেকে মাইক্রোবাসযোগে আসে অপহরণকারীরা। তারা বনপাড়ার ছাতিয়ানগাছা সড়ক থেকে কলে ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে এনে মাইক্রোবাসে ঢোকায়। এ সময় ওই কলেজছাত্রী কৌশলে জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং সবাইকে আটক করে।
ওই কলেজছাত্রী জানান, রাজশাহী গোদাগাড়ির একটি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী সে। কলেজে পড়াশোনার সময় ওই এলাকার শফিউল ইসলামের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের সূত্র ধরে বিভিন্ন সময় তাকে যৌন নিপীড়ন করতে থাকে শফিউল। এক পর্যায়ে বোনের বাড়ি বনপাড়াতে পালিয়ে আসি। মঙ্গলবার বিকালে আমার দুই সহপাঠী বান্ধবী আমার বোনের বাড়িতে আমার সাথে দেখা করতে আসে। আমাকে তারা বলেনি যে শফিউল তাদেরকে পাঠিয়েছে। আমি সরল মনে তাদের নাস্তা খেতে দেই এবং তাদেরকে বিদায় দিতে সড়কে আসি। সেখানে সড়কের অদূরে দাঁড়ানো মাইক্রোবাস দেখে আমি আর যেতে চাইনি। এক পর্যায়ে মাইক্রোবাস থেকে শফিউল, তার স্ত্রী, চার বন্ধুসহ ৮ জন বের হয়ে আসলে আমি ভয়ে দৌড়ে পাশের একটি ঘরে অবস্থান নেই। সেখান থেকে তারা দরজা ভেঙে মুখ চেপে আমাকে মাইক্রোবাসে তোলে। পরে কৌশলে জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করে।
বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবর রহমান বলেন, মেয়েটি হিন্দু সম্প্রদায়ের আর ছেলেটি মুসলিম এবং বিবাহিত। ফলে এ প্রেমের সম্পর্ক আর টিকেনি। মেয়েটিকে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্ক না রাখায় প্রেমিক শফিউল তাকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। এ ব্যাপারে মাইক্রোবাসসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ি এলাকায়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।