প্রতিদিনের বাংলাদেশে সংবাদ প্রকাশ
শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৯ পিএম
ফাইল ফটো
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার খামারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জলবদ্ধতার সংবাদ প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকায় প্রকাশের পর পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ শুরু হয়েছে।
গত ২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রতিদিনের বাংলাদেশ অনলাইন ভার্সন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতা, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত’- এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে এলে কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ের পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করে।
খামারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ মোল্যা বলেন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ড্রেন নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসন ও শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় মাঠ ভরাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা জরুরি। বিদ্যালয়ের সকল সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
শ্রীকোল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া কুটি বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমার নজরে আসে। সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর শ্রীপুর, মাগুরা অফিসকে অবহিত করি। পরে ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইমরান মাহমুদ আমি বলেন, বৃষ্টি হলেই স্থায়ী জলবন্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে এখানে ড্রেন নির্মানের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এ কাজের আনুমানিক ব্যয় হবে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রাখী ব্যানার্জী বলেন, ড্রেন নির্মাণের পর এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে। পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন না থাকায় তাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বর্ষায় অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।
খামারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন না থাকায় স্থায়ী জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যে কারণে মাঠ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে মাঠটি। বিদ্যালয়ের মাঠ নিচু হওয়ায় বাজার ও আশপাশের সব পানি মাঠে এসে জমা হয়। মাঠে পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীরা অ্যাসেম্বলি করতে পারে না। টিফিন চলাকালীন মাঠে খেলাধুলার কোনো সুযোগ নেই। হাঁটুপানি পেরিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যেতে হয় বিদ্যালয়ে। সপ্তাহখানেক আগে বৃষ্টি থামলেও এখনও মাঠে প্রায় হাঁটুপানি জমে রয়েছে। আশপাশের চলাচলের রাস্তা, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি জলাবদ্ধ রয়েছে। জলাবদ্ধ থাকায় কমে গেছে শিক্ষার্থী উপস্থিতিরি সংখ্যা।