× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চট্টগ্রামবাসীকে নতুন কী দেবেন প্রধানমন্ত্রী, জানাবেন জনসভায়

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:২৩ পিএম

আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:২৯ পিএম

দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভা শুরু হয় যশোর থেকে। সেখানে ভাষণ দেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভা শুরু হয় যশোর থেকে। সেখানে ভাষণ দেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম মহানগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে রবিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা। ১০ বছর পর চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের জনসভা ঘিরে পুরো মহানগরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। পলোগ্রাউন্ডে তৈরি করা হয়েছে বিশাল নৌকা মঞ্চ। ব্যাপক প্রচারণার পর ব্যানার ফেস্টুনে ঢেকে গেছে চট্টগ্রাম।  

১০ বছর আগে এই মাঠে জনসভা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়ন তিনি নিজ হাতে নিয়েছেন। গত ১০ বছরে একাধিক মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করে প্রধানমন্ত্রী তার কথা রেখেছেন। এবার আসছেন আরেকটি নির্বাচনের আগে। 

চট্টগ্রামের আসনগুলোতে নৌকা প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য তিনি ভোটারদের কাছে ভোট চাইবেন, একই সঙ্গে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় এসে চট্টগ্রামের জন্য কী কী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেসেটাও থাকতে পারে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। এ কারণে নির্বাচনের আগের বছরে শেখ হাসিনার এই জনসভাকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করছে আওয়ামী লীগ। 

শনিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পলোগ্রাউন্ড মাঠে নৌকার আদলে বিশাল মঞ্চ তৈরি হয়েছে। বাঁশ-গাছ দিয়ে তৈরি মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীসহ দুই শতাধিক নেতা বসবেন করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট হাতে নিয়ে। 

মঞ্চের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, ভিআইপিদের বসার জন্য পৃথক প্যান্ডেল ও বাঁশ দিয়ে বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কড়া নজরদারিতে রেখেছে মঞ্চ। 

বেলা ১১টায় মাঠে আসেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তার সঙ্গে ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলার আওয়ামী লীগ সভাপতি এমএ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।

দুপুর দেড়টার দিকে পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুল-উল আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাসিম, আব্দুর রহমান, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।  

জনসভাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুল-উল আলম হানিফ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘রবিবার সকাল ৮টায় মাঠের গেট খোলা হবে। আশা করছি দুপুর আড়াইটার মধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সভাস্থলে আসবেন এবং ৩টায় তিনি বক্তব্য শুরু করবেন।’

হানিফ আরও বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১০ বছর পর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠের জনসভায় আসবেন। দেশবাসীর জন্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। এজন্য চট্টগ্রামবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। আমাদের বিশ্বাস, জনসভা শুধু এই পলোগ্রাউন্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। গোটা চট্টগ্রাম শহর জনসমুদ্রে পরিণত হবে।’ 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভা হবে। করোনা-উত্তর এই জনসভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছে। এ জনসভায় ১০ লাখের অধিক মানুষ সমবেত হবে।’

জনসভাস্থল পরিদর্শন শেষে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড অনেক বড় মাঠ, এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জনসভা করেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও জনসভা করেছেন। কানায় কানায় পূর্ণ জনসভা হয়েছে। অতীতেও মাঠ ছাড়িয়ে মানুষ বাইরে দাঁড়িয়েছে। 

‘আমরা যেভাবে সাড়া দেখতে পাচ্ছি, এবার কিন্তু মাঠের তুলনায় আট-দশ গুণ বেশি মানুষকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে। কদিন আগে এখানে বিএনপি জনসভা করেছিল। মাঠের তিন ভাগের একভাগ পেছনে রেখে তারা মঞ্চ বানিয়েছিল। আর সামনে যে মাঠ ছিল, তার অর্ধেক পূর্ণ হয়েছিল।’

জনসমাবেশের সর্বশেষ প্রস্তুতি প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা এখন প্রধানমন্ত্রীকে চট্টগ্রামে বরণের অপেক্ষা করছি। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে নেতাকর্মীরা বেশ উজ্জীবিত। জনসভাস্থল ও আশপাশের এক বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে ২০০ মাইক লাগানো হয়েছে। বসানো হয়েছে সাউন্ড সিস্টেম।’ 

নিরাপত্তা প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য ইউনিটগুলো দায়িত্ব পালন করছে। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) পুরো বিষয়টি তদারকি করছে।

‘এসএসএফের পরামর্শ মোতাবেক পোশাকধারী পুলিশের সঙ্গে সাদা পোশাকেও পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। নগরজুড়ে সাড়ে সাত হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। এর মধ্যে পলোগ্রাউন্ড মাঠসহ পুরো মহানগরে ছয় হাজার সদস্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এর বাইরে আরও দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা, ড্রোন দিয়ে পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা