ফেনী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:২৬ পিএম
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:৪৮ পিএম
ফেনীর পাঁচগাছিয়া বাজারে একটি ক্যারেট ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফ্যাক্টরির মালিক দাবি করছে, আগুনে তার ৫৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৮ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফেনী শহরতলীর পাঁচগাছিয়া বাজারে বিকালের দিকে আগুন লাগে। এটি একটি ফলের ক্যারেট ফ্যাক্টরি ছিল। আগুন দেখার পর আমরা ফায়ার সার্ভিসেকে খবর দেই। প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য হওয়ায় আগুনের তাপ বেশি ছিল। ভেতরে যাওয়া যায়নি। আগুন নেভার শেষ দিকে ফায়ার সার্ভিস আসে। প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
দোকানের মালিক এনামুল হক জানান, আমার গোডাউনে শত্রুতামি করে আগুন দেওয়া হয়েছে। কারণ আমার এখানে রাতের বেলা কাজ চলে, মানুষ বিরক্ত হয়। কেউ ইচ্ছাকৃত এ কাজ করতে পারে। এটি খোলা মাঠ আশপাশে কিছু নেই, আজকে সারা দিন বিদ্যুৎ ছিল না। আগুন লাগার কোনো কারণ নেই। আজ দোকানে আমার কোনো লোক ছিল না। আগুনের খবর শুনে এসে দেখে সব পুড়ে গেছে। এগুলা প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য। আগুনের তাপ বেশি হওয়াতে কেউ সামনেও যেতে পারেনি।
আগুনে নিজের ৫৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এখানে ৩ থেকে ৪ ক্যাটাগরির ক্যারেট ছিল। প্রায় ৪৫ হাজার ক্যারেট এখানে ছিল; যা সব পুড়ে গেছে। এ ক্যারেট গুলোর বাজারমূল্য ৫৫ লাখ টাকা। আমার আরেকজন ব্যবসায়িক পার্টনার আছে। তিনি যাওয়ার আগেই আমাকে ৩২ থেকে ৩৩ লাখ টাকার পণ্যের হিসাব দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে ১০ গাড়ি নতুন পণ্য আসছে। সবকিছুই শেষ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি ধারদেনা করে ব্যবসা করি। সব হারিয়ে আমি নিঃস্ব। ব্যবসায়ীরা টাকা পাবে। প্রশাসন যদি আমাকে সহযোগিতা না করে রাস্তা বসা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
ফেনী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়ার স্টেশন অফিসার আবদুল মজিদ জানান, সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। দুটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনায় সন্ধ্যায় ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন সুলতানা কান্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলেছি এবং বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি। প্রাথমিক দৃষ্টিতে আমাদের কাছে ক্ষয়ক্ষতি কম মনে হয়েছে। তবে গোডাউন মালিকরা আরও বেশি বলছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।