ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:১৭ পিএম
প্রবা ফটো
পাবনার ঈশ্বরদীতে এক ব্যবসায়ীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণের পর জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করা চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আলহাজ্ব মোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় এবং ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
আটকরা হলো- পৌর শহরের মধ্য অরোনকোলা এলাকার বাসিন্দা মৃত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. রেবেকা সুলতানা, তার ছেলে মো. শাহরিয়ার ইসলাম রাতুল, একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. মিজানুর রহমান এবং বড়ইচারা গ্রামের মৃত মো. রানা প্রামানিকের ছেলে মো. সজীব হোসেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের আড়কান্দি গ্রামের মৎস্য খামার ব্যবসায়ী মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে জনৈক এক নারীর (চক্রের সদস্য) মুঠোফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। তারই ধারাবাহিকতায় অবৈধ মেলামেশার উদ্দেশে তারা আলহাজ্ব মোড় এলাকায় স্থানীয় মো. আতিকের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. মিজানুর রহমানের সঙ্গে দুই ঘণ্টার জন্য দুই হাজার টাকা চুক্তিতে সেই বাড়িতে প্রবেশ করে।
পরে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের বেশ কিছু আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রুহুল আমিনের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে চক্রটি। এসময় তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয়।
পরে রুহুল আমিন তার মুঠোফোনের মাধ্যমে ঘটনাটি তার বড় ভাই মখছেদ আলীকে জানালে পুলিশি সহায়তায় তাকে উদ্ধার ও চক্রটির চার সদস্যকে আটক করা হয়।
মখছেদ আলী বলেন, ‘আমার ছোট ভাই সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেনি। মুঠোফোনে জানতে পারি তাকে আটকে রাখা হয়েছে, তিন লাখ টাকা না দিলে তাকে হত্যা করা হবে। সঙ্গে সঙ্গে বিকাশে এক লাখ টাকা দিয়ে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করি। পরে পুলিশি সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়।’
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শোনামাত্রই তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চক্রটির অবস্থান সনাক্ত করে সেখানে অভিযান পরিচালনা করি। পরে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার ও চক্রটির ৪ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।