সুনামগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:০৩ পিএম
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:০৪ পিএম
মধ্যনগরে মিজানুর রহমান মিজান নামে এক ওয়ার্ড যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এম এ শহীদকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এম এ শহীদকে প্রাথমিক সদস্য পদ সহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুব লীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মিজানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু জেলা যুবদলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহীদ মিয়া মিজনাকে বিএনপিপন্থি ও তার লোক বলে দাবি করে থানায় গিয়ে পুলিশের সাথে কথা বলেন। পরে শহীদের নেতৃত্বে মধ্যনগর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। অপরদিকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ূম মজনুর পক্ষও এ ঘটনায় পাল্টা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপি অফিস ও শহীদের ব্যক্তিগত অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকায় বাজার ও আশপাশের এলাকায় সভাসমাবেশ মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পরে শনিবার রাত ১২ টায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়।