× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল

বৃষ্টি এলেই ডুবে যায় হাসপাতাল চত্বর

মধ্যাঞ্চল অফিস

প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪৮ পিএম

আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৫৫ পিএম

হাসপাতালের বাউন্ডারি দেয়াল সংলগ্ন ড্রেনের মাটি তোলা হলেও ড্রেন নির্মাণ বন্ধ রয়েছে। প্রবা ফটো

হাসপাতালের বাউন্ডারি দেয়াল সংলগ্ন ড্রেনের মাটি তোলা হলেও ড্রেন নির্মাণ বন্ধ রয়েছে। প্রবা ফটো

কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের সামনে ড্রেন না থাকায় মানসিক চাপে থাকে সেখানে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, কর্মীসহ সহস্রাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা। বৃষ্টি এলেই উপচেপড়ার নালার পানিতে ডুবে যায় হাসপাতাল যাবে চত্বর। আর তখন রোগীসহ সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পড়বে। আসন্ন বর্ষা মৌসুম তাই তাদের মানসিক ও স্নায়ুবিক চিন্তাও বাড়ছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, সাবেক মেয়র কথা দিয়েছিলেন হাসপাতালের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের গেইট থেকে পাট গবেষণা কেন্দ্র পর্যন্ত নালাটি (ড্রেন) তৈরি করে দেবেন। প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে নালার অগভীর মাটি পৌর কর্তৃপক্ষ তোলে নেন। কিন্তু প্রায় এক বছর চলে গেলেও পৌরসভা কাজটি করেনি। পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ কথা দিলেও তাকে এখন পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার পরিবর্তনের পর তিনি পলাতক রয়েছেন।

পৌরসভার প্রধান নির্বাহী হাসান জাকির বলেন, বিষয়টি তাদের নজরে আছে। সময় ও সুযোগ হলেই পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে বিষয়টি বলে ব্যবস্থা নেবেন। 

হাসপাতালে ভেতরের ফার্মেসির মালিক আল-আমিন বলেন, ‘বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে নালাটি নির্মাণ করা না হলে শত শত মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে। তাই কাজটি দ্রুত করার জন্য তিনি পৌর কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।’

হাসপাতালে কর্মরত শরীফ, নাগিস আরাসহ একাধিক কর্মরতরা জানান, নালাটি নির্মাণ না হওয়ায় গত বছরে রোগীরা পায়ের গোড়াঁলি ভিজিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করে চিকিৎসা সেবা নিতে বাধ্য হন। কাদা পানিতে এর চেয়ে খারাপ অবস্থা আর কি হতে পারে? 

তারা দ্রুত নালাটি নির্মাণ করে সাধারণ রোগীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান বলেন, ‘নতুন প্রশাসক হিসেবে মোছা. মোমতাজ যোগদান করেছেন। তার সঙ্গে আলাপ করে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. নূর মোহাম্মদ সামসুল আলম জানান, সাবেক মেয়র আমাকে কথা দিয়েছিল সার্বিক স্বার্থে তিনি কাজটি করে দেবেন। কিন্তু তা করেননি। এখন তো আর তিনি নেই। আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক স্থানীয় সরকার বরাবর পত্র দিয়েছি। আশা করি তিনি নালাটি নির্মাণ করে দিয়ে রোগীসহ হাসপাতালে কর্মরত সবাইকে বাচাঁবে।

দায়িত্বে থাকা উপপরিচালক স্থানীয় সরকার বিভাগ মোছা. মমতাজ বলেন, নতুন যোগদান করেছি। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা