বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩৮ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
পটুয়াখালীর বাউফলে পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে এক স্কুলছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি)) মধ্যরাতে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর মিয়াজান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই ছাত্রীর মা-বাবাও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় স্থানীয় দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলো- একই এলাকার মোতালেব হাওলাদারের ছেলে মো. বেল্লাল হাওলাদার ও আকবর কাজীর ছেলে মো. ফয়সাল। এদের মধ্যে বেল্লাল বাউফলের আলোচিত ডাকাতি ও ব্যবসায়ী অপহরণ মামলার অন্যতম আসামি। গত ৩১ জানুয়ারি তাকে ওই ডাকাতি ও অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। সম্প্রতি সে জামিনে মুক্তি পায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর মা জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। আমার মেয়ে পড়তে ছিল। রাত ১২টার দিকে বেল্লাল ও ফয়সাল চেতনানাশক স্প্রে ছিটিয়ে আমাদের অজ্ঞান করে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে নিয়ে যায়। বাড়ির অদূরে রাস্তার পাশে নিয়ে হাত-পা বেঁধে তারা তাকে (স্কুল ছাত্রী) ধর্ষণ করে। পরে আমার মেয়ে ঘরে এসে চিৎকার করলে আশপাশের মানুষ আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
ওই ছাত্রীর মামা বলেন, ফয়সাল ও বেল্লাল দীর্ঘদিন ধরে আমার ভাগনীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিয়ে করারও প্রস্তাব দিয়েছিল। আমরা রাজি না হওয়ায় পরিকল্পনা করে ভাগনীকে ধর্ষণ করে। আমার ভাগিনী তাদের হাত-পা ধরে মাফ চাইলেও তারা মাফ করেনি। উল্টো বিভিন্নভাবে পাশবিক নির্যাতন করে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুর রউফ বলেন, রাত ৩টার দিকে ওই ছাত্রী হাসপাতালে এলে তাকে পটুয়াখালী মেডিকেলে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিসে পাঠানো হয়। তার মা ও বাবা এখানে চিকিৎসাধীন। চেতনানাশক স্প্রে ছিটিয়ে তাদের অচেতন করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের মৌখিক অভিযোগ পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হব।