কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:১১ পিএম
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:২৩ পিএম
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জুনায়েদ হোসেন খান লেলীনকে অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ছাত্র-জনতার ব্যানারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচিতে স্থানীয়, ভিকটিম রোগীর স্বজন ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরাও অংশগ্রহণ করেন।
বক্তব্য দেন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার নাসির উদ্দিন, ছাত্রনেতা মাহবুবুল আলম নাইম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোল বরিশাল মহানগর সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব এইচএম মোস্তাফিজুর রহমান রাফি, ভুক্তভোগী খোকন হাওলাদার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ডা. লেলীনের স্বাস্থ্য সিন্ডিকেট বাণিজ্য, স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ১৪ বছর ধরে কলাপাড়া হাসপাতালে চাকরি করছেন। হাসপাতালকে তার নিজস্ব ব্যবসাকেন্দ্রে পরিণত করেছেন। একাধিক ল্যাব, ব্যক্তিগত হাসপাতাল করেছেন। তার নেতৃত্বে মারামারিতে জখম হওয়া একই রোগীকে দুই ধরনের সনদ দেওয়া হয়। এ নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে। তার ভুল চিকিৎসায় বেশ কয়েকজন রোগী প্রাণ হারিয়েছে। অঙ্গহানি হয়ে যন্ত্রণা পোহাতে হচ্ছে অনেককে। নানাভাবে বিতর্কিত এই চিকিৎসককে পদোন্নতি দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জুনায়েদ হোসেন খান লেলীন পতিত স্বৈরাচারের পক্ষ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন। এতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা গত কয়েকদিন ধরে তার অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছে। তারা বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছে। এ ছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জুনায়েদ হোসেন খান লেলীন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে আন্দোলন বিরোধী পোস্ট দেওয়া হয়। এ ছাড়া সব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করেছে। প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একটি মহল মদদ দিচ্ছে।