রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪৬ পিএম
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
রামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী ও সহকারী প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে টেন্ডার জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের দায়ে আদালতে মামলা হয়েছে। শরিফ মোহাম্মদ ফিরোজ আলম নামের এক ঠিকাদার বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামল করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন-পৌরসভা প্রশাসক ও পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা।
মামলা বিবরণ সূত্রে জানা যায়, শান্ত ট্রেডার্সের মালিক শরিফ মোহাম্মদ ফিরোজ আলম বিধি মোতাবেক ২০২০ সালে পৌরসভার টেন্ডারে ইজিপিতে পৌরসভাধীন শ্রীপুর ঠাকুর বাড়ি থেকে আলী আকবর চেয়ারম্যার রোড পর্যন্ত ৬৫০ মিটার ও রামগঞ্জ জামতলী রোড থেকে কামাল উদ্দিন খাল রোড ভায়া রৌকন উদ্দিন পাটোয়ারি বাড়ি পর্যন্ত ৫৫০ মিটার সড়ক দুইটি একটি প্যাকেজে কার্পেটিং সংস্কারের ঠিকাদারি কাজ পায়। কাজের বরাদ্ধ ৪০ লাখ টাকা। ঠিকাদার যথারীতি কাজ শেষ করেন। পরবর্তীতে পৌরসভা তাকে বিভিন্ন তারিখে তিনটি চেকে ১৪ লাখ ৫০ হাজার দেন। বাকি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা মেয়র ও সহকারী প্রকৌশলী যোগসাজসে চেক জালিয়তির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন এবং ফাইল সরিয়ে পেলেন।
ঠিকাদার শরিফ মোহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, মেয়র ও সহকারী প্রকৌশলী ক্ষমতা অপব্যবহার ও জালজালিয়াতি করে আমাকে বিল না দিয়ে, নিজেরা বিলের বাকি সাড়ে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। আমি বিল চাইতে গেলে তারা আমাকে হুমকি ধামকিসহ নানাভাবে নাজেহাল করত। ৫ আগস্টের পর কয়েকবার পৌরসভা বিল ও ফাইলে গেলে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ফাইল পাওয়া যাচ্ছে না বলে হয়রানি করে আসছে। তাই আমি আমার ন্যায্য টাকা পাওয়ার জন্য ও প্রতারণার বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করছি।
মামলার বাদীর উকিল মো. আবদুর রহিম জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের এডিশনাল এসপিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ফ্যাসিবাদের সময়কালে অনেক দুর্নীতি হয়েছে, সেটা সবাই জানেন। তখন মেয়র চাপ সৃষ্টি করে ও জোরপূর্বক বিধিবহির্ভূত অনেক কাজ করিয়ে নিয়েছেন। এ ঘটনাটি প্রায় ৫ বছর আগের ছিল। এখন সব কিছু মনে নাই, বিস্তারিত পরে জানাব।
পৌরসভার সাবেক মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারির মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।