রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:৩৭ পিএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:০১ পিএম
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার। ছবি : সংগৃহীত
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রান্নার সময় পা পিছলে ফুটন্ত পানিতে পড়ে দগ্ধ হওয়া কয়েদি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি দগ্ধ হন তিনি।
মৃত ওই কয়েদির নাম বিপুল কুমার। তিনি নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানার লক্ষ্মীপুর ভান্ডারপুর এলাকার বাসিন্দা। নওগাঁ সদর থানায় ২০১০ সালের একটি মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন তিনি।
রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রান্নার সময় বিপুল কুমার গত ১০ ফেব্রুয়ারি পা পিছলে ফুটন্ত গরম পানিতে পড়ে যান। এতে তিনি মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন। গরম পানিতে ঝলসে যাওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করে তাকে রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠায়। এর পর তাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রামেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটের প্রধান চিকিৎসক ডা. আফরোজা নাজনীন জানান, গরম পানিতে পড়ে যাওয়ায় বিপুল কুমারের শরীরের ২০ শতাংশ মারাত্মকভাবে ঝলসে গিয়েছিল। বার্ন ইউনিটে ভর্তির পর তার অবস্থার অবনতি ঘটে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাকে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছিল। আর তাকে স্থানান্তরের জন্য হাসপতাল কর্তৃপক্ষ একটি অ্যাম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু ঢাকায় পাঠানোর আগেই দগ্ধ বিপুল কুমারের মৃত্যু হয়।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় বলেন, ‘রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। কারাবিধি অনুযায়ী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’