চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৪ পিএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৩০ পিএম
পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে রাজশাহীর চারঘাটের পদ্মা ও বড়াল নদের মোহনায় নদী তীরসংলগ্ন সরকারি খাস জমিতে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বনায়নের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জান্নাতুল ফেরদৌস। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে রয়েছে চারঘাট পৌরসভার ও উপজেলা কৃষি ও বন বিভাগ।
এই প্রকল্পে বিদেশি সহায়তা রয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধি দল পদ্মা-বড়াল নদীর মোহনার বিস্তৃত সরকারি খাস জমি ঘুরে ঘুরে দেখেন। তারা বনায়ন কার্যক্রমে অংশ নেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রকল্প প্রধান মাহমুদুর রহমান। জার্মান সংস্থার প্রতিনিধি দলের সদস্য জেসমিন রেমলিংগার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) রাজশাহী জেলার সভাপতি জামাত খান, রাজশাহী পানি উন্নয়ন উপবিভাগ-২ এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকার, কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান, উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার, চারঘাট মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল খালেক প্রমুখ।
বনায়ন কার্যক্রম শুরুর আগে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে পদ্মা-বড়াল মোহনার সরকারি খাস জমির সঠিক সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এতে লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সেখানে খয়ের গাছ লাগিয়ে বনায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়।
ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, পদ্মা-বড়াল নদের পাশেই পুলিশ একাডেমি, ভূমি অফিস, মডেল থানা ও দুইটি বিজিবি ক্যাম্প। এজন্য এই দুই নদীর তীরবর্তী অঞ্চলকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করে আসা জার্মানির অর্থায়নে পরিচালিত একটি সংস্থাও জায়গাটি দেখেছে। এ ক্ষেত্রে সেখানে প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে নদী ভাঙন রোধ করার পাশাপাশি স্থানীয়রা অবসর সময় কাটানোর জন্য সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
বাপার রাজশাহী জেলার সভাপতি জামাত খান বলেন, পদ্মা-বড়াল নদীর বেশিরভাগ অংশই বেদখলে। নদীর জমির মাটি খনন করে বিক্রিসহ সেখানে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এজন্য আমরা চাই নদীর উপযুক্ত পরিবেশ ঠিক রাখতে নদীর জায়গাগুলো দখলমুক্ত করতে। তীরবর্তী জমিতে গাছ লাগিয়ে জমি দখলমুক্ত করার প্রথম ধাপের কাজ শুরু করা হলো।