মুন্সিগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:১৫ পিএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:১৪ পিএম
ধর্ষক ইয়ামিন মুন্সী, জামাল মোল্লা এবং জব্বার শেখ। কোলাজ, প্রবা
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তাররা দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। বিচারক তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পদ্মা নদীর ডোমারখালী চরে পুরাতন মাওয়া ফেরিঘাট এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তাররা হলো- ইয়ামিন মুন্সী, জামাল মোল্লা এবং জব্বার শেখ।
বৃহস্পতিবার রাতে মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশ বিভাগ থেকে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই নারীর শশুরবাড়ী মাদারীপুর জেলার শিবচরের চরজানাত গ্রামে। গত রবিবার ওই নারী শশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য মাওয়া পুরাতন ফেরিঘাটের ট্রলার ঘাটে আসেন। সে সময় ওই নারীর স্বামীর পরিচিত আবু বকর সিদ্দিক ও জামাল মোল্লা ট্রলার ঘাটে আসে। তারা ওই নারীকে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তাদের পরিচালিত ট্রলারে উঠতে বলেন। সিদ্দিক ওই নারীদের পরিচিত হওয়ায় তিনি সরল বিশ্বাসে ট্রলারে ওঠেন। সে সময় ইয়ামিন ও জব্বারও ট্রলারে ওঠে। সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে ট্রলারটি পদ্মা নদীর ডোমারখালী চরে পৌঁছালে ওই নারীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে একে একে চারজন ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা মাওয়া পুরাতন কোস্ট গার্ড স্টেশনের পাশে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ওই নারীকে ট্রলার থেকে নামিয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনার পরদিন সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওই নারী তার স্বামীসহ পদ্মা সেতু (উত্তর) থানায় হাজির হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা রুজু করে। সেই সঙ্গে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করে।
একইদিন পদ্মা নদীর পাড় থেকে অভিযুক্ত জামাল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে পদ্মা সেতু সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপর দুই অভিযুক্ত ইয়ামিন ও জব্বারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে সিদ্দিক।
পদ্মা উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, অভিযুক্ত তিনজনই বৃহস্পতিবার আদালতে দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় ব্যবহৃত নৌকা এবং আলামত হিসাবে একটি জিও ব্যাগ ও ওই নারীর পরিহিত কাপড় জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান এবং পলাতক অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।