বেনাপোল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৫ পিএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৬ পিএম
ফাইল ছবি
মাতৃভাষা দিবসে এবার হয়নি দুই বাংলার ভাষাপ্রেমী মানুষের মিলন মেলা। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রতিবারই দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দরের বেনাপোল চেকপোস্ট নো-ম্যান্সল্যান্ডে বসতো দু-বাংলার ভাষাপ্রেমী মানুষের মিলন মেলা।
ভৌগোলিক সীমারেখা ভুলে কেবল ভাষার টানে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া উপেক্ষা করে দলে দলে যোগ দিতেন একুশের মিলন মেলায়। ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নিতো এ অনুষ্ঠানে। এ সময় পেট্রাপোল ও বেনাপোল চেকপোস্টে ঢল নামত হাজার হাজার মানুষের। ক্ষণিকের জন্য হলেও আন্তর্জাতিক সীমান্ত রেখায় ছেদ পড়ত।
২১ ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে বেনাপোল নো-মান্সল্যান্ড এলাকা সাজতো নানা রংয়ের বর্ণিল সাজে। নো-ম্যান্সল্যান্ড এলাকায় নির্মাণ করা হতো অস্থায়ী শহিদ মিনার। সকাল থেকে দুই দেশের হাজার হাজার মানুষ পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করতেন শহিদ বেদিতে। আবেগ আর ভালোবাসায় ভাষাপ্রেমীরা ভুলে যেত তাদের সীমান্ত রেখা।
কিন্তু এবারের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এই দৃশ্য আর দেখা যায়নি। এতদিন দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধি ও মন্ত্রীরা প্রতিবেশী দেশে গিয়ে শহিদবেদিতে পুস্পস্তবক দিতেন। কিন্তু দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ভালো না থাকার কারণে এবার যৌথ ভাবে একুশের কোনো অনুষ্ঠান পালিত হযনি নো-ম্যান্সল্যান্ডে।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন বলেন, দেশে জালেম সরকারের পতনের পরে দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ভালো না থাকার কারণে এবার বেনাপোল চেকপোস্ট নো-ম্যান্সল্যান্ডে একুশের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। পরিস্থিতি উন্নতি হলে আগামী বছর থেকে পুনরায় অনুষ্ঠান করা হবে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, প্রতি বছরই একুশে ফেব্রুয়ারি বেনাপোল স্থানীয় প্রশাসন আয়োজন করে থাকে। এ বছর দুই বাংলার মিলন মেলা অনুষ্ঠানটি হয়নি।