অমর একুশের শ্রদ্ধা জানাতে ভাষাশহিদ সালাম নগরে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ফুল দিয়ে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের সালাম নগরে শহীদ মিনারে দল বেধে শ্রদ্ধা জানায়। ভাষাশহিদ সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর সংলগ্ন শহীদ মিনার ফুলে ফুলে ভরে উঠে। এ সময় তারা ভাষাশহিদ সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর, সালামের পৈতিক বসতঘর ঘুরে দেখেন।
ভাষাশহিদ সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর প্রঙ্গণে দাগনভূঞা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা স.ম আজহারুল ইসলামের সভাপত্বিতে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইকবাল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসমাইল হোসেন, ভাষাশহিদ সালামের ছোট ভাই আবদুল করিম, ভাতিজা নুর আলম, বিএনপি নেতা কাজী সাইফুর রহমান স্বপন, মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
শেষে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। এ সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
ওইদিন সকালে শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পন করেন, ফেনী জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ভাষাশহিদ সালাম পরিবার, ভাষাশহিদ সালাম স্মৃতি পরিষদ, পিএফজি দাগনভূঞা, দাগনভূঞা উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, দাগনভূঞা ইয়ূথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, নব জীবন রক্তদান ফোরাম-ফেনীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দ।
ভাষাশহিদ সালামের ভাতিজা নুরে আলম বলেন, ‘সালাম নগরে একটি শিশু পার্ক স্থাপন, ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে সালামের নামে তোরণ নির্মাণ, দাগনভূঞা জিরো পয়েন্টকে ভাষাশহিদ সালামের নামে নামকরণের দাবি জানাই। শুধু আশ্বাস নয় দাবিগুলো বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করছি।’