শেরপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৩৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
শেরপুরে আড়াই মাসের কন্যাশিশুকে চুরির পর এক লাখ ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিশুটিকে উদ্ধারসহ অভিযুক্ত ওই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম।
এর আগে সদর উপজেলার মাধবপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলা থেকে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন আরও তিনজন।
গ্রেপ্তার জরিনা বেগম সদর উপজেলার লসমনপুর গ্রামের ইজ্জত আলীর স্ত্রী। পলাতকরা হলো- জরিনার মেয়ে সাবিনা আক্তার, সদর উপজেলার কামারেরচর গ্রামের সুলতান মিয়া এবং টাঙ্গাইল জেলা সদরের আশিকপুর পশ্চিম পাড়া এলাকার এমদাদুল হকের স্ত্রী সানোয়ারা খানম।
পুলিশ জানায়, নকলা উপজেলার কুলাদি গ্রামের তানিয়া আক্তার ও লতিফুর রহমান দম্পতির আড়াই মাসের কন্যাশিশু লাবিবাকে ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চিকিৎসার জন্য শহরের বটতলা এলাকার নিরাপদ ক্লিনিকে নিয়ে যান। তানিয়ার পূর্বপরিচিত ওই ক্লিনিকের শিশু চোরচক্রের সদস্য জরিনা বেগম তানিয়াকে বোকা বানিয়ে মেয়ে সাবিনার সহায়তায় শিশুটিকে চুরি করে। এরপর তারা টাঙ্গাইল জেলা সদরের এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।
ঘটনার পর পুলিশ অভিযোগ পেয়ে অভিযান শুরু করে। বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার প্রধান আসামি জরিনাকে শহরের মাধবপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে টাঙ্গাইল জেলা সদরের আশিকপুর পশ্চিমপাড়ার হাজী সুলতান মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ছানোয়ারা নামে এক নারীর ঘর থেকে লাবিবাকে উদ্ধার করা হয়। তবে ওই নারী ও তার স্বামীকে পাওয়া যায়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে।