সাতক্ষীরা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৫ পিএম
অভিযুক্ত নারীকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া
সাতক্ষীরায় শিশু সন্তানকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার পর নিজের বয়স্ক মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ এক নারীর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নুনগোলা গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
ওই নারীকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত ওই নারীর নাম শান্তা পারভীন। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী গ্রামের আজহারুল ইসলামের স্ত্রী ও ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের নুনগোলা গ্রামের মৃত খোদা বক্সের মেয়ে।
আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া শিশুর নাম আশরাফী খাতুন। আর শান্তার মায়ের নাম হোসনেয়ারা বেগম।
নুনগোলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমান জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী গ্রামের আজহারুল ইসলামের সাথে ৫/৬ বছর আগে শান্তার বিয়ে হয়। আগে শান্তা স্বাভাবিক থাকলেও সম্প্রতি মাঝে মাঝে সে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ত। এসব কারণে আজহারুল বুধবার তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার স্ত্রী ও সন্তানকে রেখে তিনি বাড়িতে চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিবলুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে শান্তা তার দুগ্ধপোষ্য শিশু আশরাফিকে জ্বলন্ত চুলার মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে শান্তার মা হোসনেয়ারা খাতুন শিশুটিকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসেন। এ সময় শান্তা হাতে থাকা লাঠি দিয়ে সজোরে মায়ের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলাই মারা যান হোসনেয়ারা খাতুন। এরই মধ্যে চুলার আগুনে পুড়ে মারা যায় শিশু আশরাফি। পরিস্থিতি ভয়াবহতা বিবেচনা করে স্থানীয়রা শান্তাকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক জানান, পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন- শান্তা বছর খানেক মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। তিনি আরও জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেছে এবং শান্তাকে থানায় আনা হয়েছে।