× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কবে ভোট হবে জানিয়ে দেন, দেশ শান্ত হবে : মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা (দক্ষিণ) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:২২ পিএম

আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:২৩ পিএম

প্রবা ফটো

প্রবা ফটো

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘যত বড় বড় লোক দিয়েই সরকার চলুক, পেছনে জনগণ থাকতে হবে। তাই আমরা বলছি কালবিলম্ব না করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেন। তার জন্য যতটুকু পরিবর্তন সংস্কার করা দরকার তা করুন। ঠিক করতে হবে পুলিশ বাহিনী, প্রশাসন- এ দুটি ব্যবস্থাকে। কবে ভোট হবে, কিভাবে ভোট হবে একটু জানিয়ে দেন। এরপর দেশ কিছুটা শান্ত হবে, স্থিতিশীল হবে। আমরা বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কুমিল্লার লাকসাম স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কুমিল্লার লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এই সভার আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারকে অনুরোধ করব, জাতিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে না রেখে দ্রুত নির্বাচন দেন। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কাছে অনুরোধ করব, এমন কোনো কথা বলবেন না যাতে রাজনৈতিক ঐক্য বিনষ্ট হয়। রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্বশীলদের মতো কাজ করতে চাই। অতীতে সরকার ছিলাম, ইনশাল্লাহ আবার জনগণের ভোটে সরকারে যাব। তাই নির্বাচনের পদ্ধতিতে একটি স্থিতিশীল অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন।’

১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমানে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “৭১ সালে স্বাধীনতার পর যে ক্ষমতায় বসে ছিল তা দুঃখজনক। এরপর তার মেয়ে এ দেশের সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট, প্রশাসন সব ধ্বংস করেছে। গত তিনটা নির্বাচনে কেউ ভোট দিতে পারেনি। চেয়ারম্যান, উপজেলা কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। আগের রাতেই সিল মারা হয়ে যেত। ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিত ঘোষণা করে সরকার গঠন করেছিল। সব শেষ ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছিল সেটি ডামি নির্বাচন। আওয়ামী লীগের ক্যান্ডিডেট, প্রতিপক্ষও আওয়ামী লীগ। এই পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশকে ফিরে পাওয়ার জন্য তারেক রহমান একটি স্লোগান দিয়েছিলেন ‘টেইকব্যাক বাংলাদেশ’।”

লাকসাম থেকে গুম হওয়া বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম হিরু ও হুমায়ুন পারভেজের বিষয়ে তিনি বলেন, লাকসাম থেকে দুজন গুম  হয়। তাদের সন্তানরা এখানে আছে। তাদের বাবা গুম হওয়ার পর যখন বেগম জিয়ার সাথে তারা দেখা করতে গিয়েছিল তাদের চেহারা এখনো মনে পড়লে বুক ফেটে যায়। তারা মনে করে তাদের বাবা এখনো ফিরবে, মাথায় হাত রাখবে। ওরা আমাদের বিশ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, গুম করেছে। এখানে এমন কোনো লোক নাই যার বিরুদ্ধে মামলা নাই।’

দেশ নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পালিয়ে গেছেন হাসিনা বেগম। দিল্লিতে বসে নানান রকম ষড়যন্ত্র করছেন। ভারত আমাদের প্রতিবেশী। তাদের অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তারা যদি মনে করে আওয়ামী লীগই তাদের বন্ধু, তাহলে ভুল হবে। বাংলাদেশের মানুষকে তারা পাশে পাবেনা। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ একটি ঘৃনিত রাজনৈতিক দল।’

ব্যাংক লুটপাটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে। সমস্ত ব্যবসায়ী বলে একটি কথা- আওয়ামী লীগ আমাদের শেষ করে দিয়ে গেছে। ব্যাংক ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। ১৮০ লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে। সে কারণে আওয়ামী লীগকে এ দেশের মানুষ তাড়া করে বের করে দিয়েছে। আমরা বলছি একটা পার্লামেন্ট করব, দেশটাকে সুন্দর করে গড়ে তুলব।’

অনেক ত্যাগের মাধ্যমে এ দেশ থেকে হাসিনাকে বিদায় করতে পেরেছি মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন সব রাজনৈতিক দল, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। শেষ মুহূর্তে একটা কথা বলতে চাই, কেউ ৭১ কে কটাক্ষ করে কথা বলবেন না। ২৪ কে কটাক্ষ করলে যেমন মানুষ করে নেবে না, ৭১ কে কটাক্ষ করলেও মানুষ মেনে নেবে না।’

এ সময় তিনি সরকারকে ইঙ্গিত করে বলেন, একটা কথা বলতে চাই, দেশের মানুষের দিকে তাকান দেশকে আর অস্থিতিশীল আর নৈরাজ্যের দিকে নিবেন না। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই সেনাবাহিনীকে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়াও দেশের জনগণকে ও সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।

সভায় কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি কর্ণেল অব. এম আনোরুল আজিম, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূইঁয়া, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক এমপি জাকারিয়া তাহের সুমন, কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বিষয় সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ভিপি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাদুল বারী আবু প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা