শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৯ পিএম
আশরাফুল ইসলাম সোহাগ এবং তার স্ত্রী রোমানা খাতুন। ফাইল ফটো
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে রোমানা খাতুন নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্বামী আশরাফুল ইসলাম সোহাগকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের ব্রজবালা পুরান পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রোমানা উল্লাপাড়া উপজেলার সোনতলা গ্রামের মোতাহার হোসেনের মেয়ে। স্বামী আশরাফুল ইসলাম শাহজাদপুর উপজেলার ব্রজবালা পুরান পাড়া গ্রামের আফছার আলীর ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। এর পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। যা পারিবারিকভাবে সমাধানও হয়েছিল। বুধবার মধ্যরাতে উভয়ের মধ্যে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। এ সময় সোহাগ উত্তেজিত হয়ে রুমার বুকে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঘরের মেঝে ও বিছানার রক্ত পরিষ্কার করে পাতলা পায়খানা করে মারা গেছে বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক হারিছুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আছলাম আলী।
রুমার দুলাভাই বায়েজিদ হোসেন জানান, ‘সোহাগের সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক থাকা অবস্থায় পারিবারিক চাপে রুমার সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের দিন থেকেই সোহাগ রুমার ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছিল। পারিবারিকভাবে বিষয়টি সুরাহার জন্য বারবার চেষ্টা করেও কোনো ফল হয়নি। গত বুধবার রাতে হঠাৎ ঝগড়া হলে ঘরের ভেতরে রুমার বুকে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়।’
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আছলাম আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বাড়ির সদস্যরা পলাতক। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে আশরাফুল ইসলাম সোহাগকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, লাশের সুরতহালের পর অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ রুমাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। হত্যার কারণ হিসেবে তিনি দাম্পত্য কলহের কথা বলেন। যদিও প্রথমে তিনি তা অস্বীকার করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’