× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শুনানির সময় আইনজীবীকে আটকের নির্দেশ, খাস কামরায় সমাধান

জয়পুরহাট প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫৮ পিএম

প্রবা ফটো

প্রবা ফটো

জয়পুরহাট চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলার শুনানিতে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনায় এক আইনজীবীকে আটকের নির্দেশ দেন বিচারক। এমন নির্দেশে অন্য আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই আইনজীবীকে এজলাস কক্ষের বাইরে আনেন। পরে আইনজীবী নেতারা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বৈঠকের পর ঘটনার অবসান হয়।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশীথ রঞ্জন বিশ্বাসের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। 

সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩০ আগস্ট আক্কেলপুর থানায় সম্পত্তি নিয়ে একটি মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার সময় মামলার কয়েকটি ধারা বাদ দেওয়া হয়। পরে বাদি পক্ষের আইনজীবী উজ্জ্বল হোসেন আদালতে নারাজির জন্য সময় প্রার্থনা করেন। এরপর মামলাটি মঙ্গলবার দুপুরে শুনানি শুরু করা হয়। শুনানির সময় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশীথ রঞ্জন বিশ্বাস ওই মামলায় ৩০৭ ধারা যোগ করেন। এ সময় এই ধারা যোগ করার কারণ জানতে চান বিবাদী পক্ষের আইনজীবী গোলাম রব্বানী মুকুল।

এ নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে ওই আইনজীবীর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তখন বিচারক ক্ষিপ্ত হয়ে কক্ষের দরজা লাগাতে বলে বাদী পক্ষের আইনজীবী গোলাম রব্বানী মুকুলকে হাতকড়া লাগিয়ে আটক করতে বলেন। এতে এজলাসে থাকা সকল আইনজীবীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের নেতাদের বিষয়টি অবগত করেন। পরে আইনজীবী নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে গোলাম রব্বানী মুকুলকে বের করে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম সুন্দর রায়ের খাস কামরায় চলে যান। সেখানে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ‘আজকে আমার বাদী আসেনি। বাদী না আসায় আমি হিয়ারিং করিনি। ওই মামলায় হাকিম (ম্যাজিস্ট্রেট) একটি অর্ডার দিয়েছে। সেটি পছন্দ হয়নি, এই নিয়ে মুকুল উকিলের সঙ্গে তর্কবিতর্ক। বিষয়টি মিমাংসা হয়ে গেছে।’

জানতে চাইলে আইনজীবী গোলাম রব্বানী মুকুল বলেন, ‘আমি আসামি পক্ষের আইনজীবী। মামলার সময় অনেকগুলো ধারা ছিল। তদন্তকারী কর্মকর্তা যা পেয়েছে সেটি নিয়ে আদালতে চার্জশীট দিয়েছেন। এতে গ্রাম্য আদালতে যাওয়ার মতো ধারা ছিল। উনি অনেকক্ষণ ধরে দেখে একটি ইনজুরি আছে বলে ৮-১০ জন আসামির মধ্যে ৪-৫ জন আসামির বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারায় চার্জ করছে। আমি সেটি নিয়ে অবজেকশন দিলাম। কোর্ট পারে বলে নিরীহ মানুষ, যারা অপরাধ করেনি, তদন্ত রিপোর্ট আসছে, তাদের বড় ধারায় সম্পৃক্ত করতে চাচ্ছেন- এর কারণ কি? বাদিরও যেখানে আপত্তি নাই। উনি এটা করবেন বললে আমি বলেছি কেন করবেন? তখন আমার একটু রাগ হয়েছে। এনিয়ে কথা কাটাকাটি। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আপনাকে এরেস্ট করা হলো। উনি দরজা লাগাতে বলেছে। পরে এটি নিয়ে বসার পর তিনি (ম্যাজিস্ট্রেট) অনুতপ্ত হয়েছেন।’

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশীথ রঞ্জন বিশ্বাসের আদালতের বেঞ্চ সহকারী পলাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘মামলার আদেশ নিয়ে স্যারের (ম্যাজিস্ট্রেট) একটি সিদ্ধান্তে কি যেন হয়েছিল। আমি ওই সময় সেখানে ছিলাম না। সেটি ঠিকঠাক হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা কৃষ্ণ কুমার সরকারকে কল করলে তিনি রিসিভ করেই কল কেটে দেন। তবে বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালতের ইন্সপেক্টর আবু বকর সিদ্দিক।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শাহনূর রহমান শাহীন বলেন, ‘মামলাটি পর্যালোচনা করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মনে হয়েছে ৩০৭ ধারা দরকার। এই ধারা আমলে নেন। তখন থেকে সূত্রপাত। তদন্তকারী কর্মকর্তা এই ধারা দিল না, আপনি দিলেন কেন? এমন কথা নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট দরজা বন্ধ করতে বলে এজলাস থেকে নেমে চলে যান। আটকের কথা ম্যাজিস্ট্রেট বলেননি। আমি নামাজ পড়ে সেখানে যাই। তারপর দরজা খুলে আইনজীবীকে বের করি। এরপর চীফ স্যারের সঙ্গে বসা হয়। তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা