বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৯ পিএম
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:০১ পিএম
আটক বাসটির চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার। ছবি : সংগৃহীত
যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার থানার মোড় থেকে বাসটি জব্দ করেছে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। এ সময় ডাকাতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বাসটির চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- বাসটির চালক ও রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া থানার শাহমুকদুম কলেজ এলাকার বাসিন্দা বাবলু আলী, সুপারভাইজার ও সাধুর মোড় গ্রামের বাসিন্দা সুমন ইসলাম এবং হেলপার ও পূর্ব কাঠালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব আলম।
এর আগে সোমবার রাত ১টার দিকে গাজীপুর জেলার চান্দুরা হতে টাঙ্গাইল মির্জাপুর এলাকায় চলন্ত একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
মজনু আকন্দ নামে এক যাত্রী জানান, সোমবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে রাজশাহীতে যাওয়ার জন্য ছেড়ে যায় বাসটি। কিছুক্ষণ পর ৮ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র চাকু, ছুরি ও পিস্তল নিয়ে বাসের চালকসহ সকলকে জিম্মি করে। এ সময় বাসের ৫০ জন যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে নেয় এবং দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানা এলাকার ফাঁকা স্থানে নেমে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।
তিনি বলেন, বিষয়টি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় অবগত করা হয়। কিন্তু তাদের কোনো ভূমিকা না থাকায় নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা মোড় এলাকায় পৌঁছালে ৪ জন যাত্রী বাসটি আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ বাসসহ ৩ জনকে আটক করে।
ওমর আলী নামে যাত্রী জানান, ডাকাতির ঘটনায় চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, বাসটি আটক করা হয়েছে। বাসের যাত্রীরা ৩ জনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।